পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৭ ) সাধকগণ জীবগণের হৃদয়াকাশে যে চৈতন্তেয় বর্ণনা করিয়। থাকেন, তাহাই বাহিরে আদিত্য রূপে বিরাজ করিতেছেন ! অপর প্রকৃতি, বহিরঙ্গ। প্রসারণ বা মায়া, । প্রবৃত্তি মার্গ। অন্তরঙ্গ আকুঞ্চণরূপ" আরাধিক শক্তি”পর প্রকৃতি। নিবৃত্তি মার্গ। ইহার সমাধান তিনি করিতেছেন হে ধনঞ্জয় তামা হইতে শ্ৰেষ্ঠ আর কিছুই নাই। স্বত্রে মণিগণের ন্তায় আমাতে এই সমস্ত জগৎ গ্রথিত রহিয়াছে ॥৭ জলে আমি রস, চন্দ্র স্বৰ্য্যে জ্যোতি এবং সৰ্ব্ববেদে প্রণব রূপে, আকাশে শব্দ এবং মনুষ্যগণ মধ্যে পৌরুষ রূপে আমি অবস্থিত আছি । জ্যোতিরূপে আমি চন্দে এবং সুৰ্য্যে এবং সকল বেদে প্রণব রূপে আমি অবস্থিত । ভগবান মনু বলিয়াছেন স্থৰ্য্য, চন্দ্র বা বায়ু, এবং অগ্নি ব্রহ্ম হইতে সামবেদ, যজুর্বেদ, ও ঋগ্বেদ উৎপন্ন হইয়াছে। এই তিন বেদই, স্বৰ্য্য, চন্দ্র বা বায়ু এবং অগ্নির মূৰ্ত্তি। ইহাদের সার প্রণব । ইহারা ও অপর ( “তত্রাপর ঋগ্বেদ” ইত্যাদি ) । পরা সেই রাধা শক্তি যাহা দ্বারা সেই অক্ষরকে, ত্রিগুণাতীত বাসুদেবকে প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই জন্ত শ্রীরাধাকে না জানিলে শ্ৰীকৃষ্ণ তত্ত্ব অধিগত হয় না। এই ত্রিগুণকে অতিক্রম করিলে তাহার পর ভগবানকে প্রাপ্ত হওয়া যায় । অষ্টম অধ্যায় তারক ব্রহ্মযোগে ভগবান বলিতেছেন অক্ষরই পরম ব্রহ্ম, স্বভাবই অধ্যাত্ম, র্তাহার বিনশ্বর যে দেহাদি পদার্থ তাহারাই প্রাণি মাত্রকে অধিকার করিয়া অবস্থান করে, এজন্য তাহা অধিভূত এবং সুর্য্যমণ্ডল মধ্যবৰ্ত্তী পুরুষই অধিদৈব । “আর এই দেহে অন্তৰ্য্যামী রূপে অবস্থিত আমিই অধিযজ্ঞ ॥৪ হে পার্থ ! অভ্যাস যোগ দ্বারা একাগ্র এবং অনন্ত গামী চিত্ত