পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ) তাহাকে জানিতে এবং প্রাপ্ত হইতে সকলেই অধিকারী ; স্ত্রী শূদ্ৰ এবং পাপ যোনিজ সকলেই তাহাকে পাইয়। পরম গতি লাভ করেন ! ইহাই রাজ ষোগ ! নবম অধ্যায়ে যে তত্ত্ব তিনি বলিলেন তাহ অর্জুন, তাহার বিভূতি জানিতে ইচ্ছা করিলে, ভগবান পুনরায় তাহার দিব্য বিভূতি বর্ণনা করিলেন। আমি সকলের আদি, মধ্য ও অন্ত । দ্বাদশ আদিত্য গণের মধ্যে আমিই ব্যাপক বিষ্ণু, প্রকাশ শীল পদার্থ গণের মধ্যে আমি রবি । নক্ষত্রগণের মধ্যে চন্দ্রম • • • বসু গণের মধ্যে আমিই অগ্নি । সকল বিভূতি বর্ণন করিয়া শেষ বলিলেন “ষাহ সৰ্ব্বভূতের বীজ তাহাও আমি, যে হেতু আমা ব্যতীত যাহ। থাকে এরূপ চর বা অচর ভূত নাই অর্থাৎ আমি ছাড়া আর কিছুই নাই। ভৌতিক ও দিব্য জগৎ উভয় জগতের তিনিই নিয়ামক, অন্তঃকরণের উৰ্দ্ধগতি ও অধোগতির চালক ও তিনি। ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ গোষ্ঠলীলা ( সাস্তজগতে ) ও নিকুঞ্জলীলা ( অনন্ত জগতে ) একই সময়ে করিতেছেন। সান্ত জগতের দ্বাদশ আদিত্য বা গোপালের সহিত তিনি গোষ্ঠ বা ইন্দ্রিয়ুজ ভৌতিক জগতে অবস্থান করিতেছেন। আবার সেই সময়েই তিনি অনন্ত জগতে নিকুঞ্জলীলায়, স্বরূপ শক্তির সহিত অবস্থান করিতেছেন । গোপবালক সখ{গণকে বলিতেছেন আমি অন্তরালে যাইলেও এইস্থানে অবস্থান করিতেছি, আমাকে ডাকিলে আমি তোমাদের নিকট উপস্থিত হইব । ওঁকারেরও দুই ভাব। “গিরামস্ম্যেকমক্ষরমূ” ১০ । ২৫ । শঙ্করাচার্য বলেন “গিরাং বাচাং পদ লক্ষণানামেকমক্ষর মোঙ্করোহমি” পদাত্মিক বাকু সকলের মধ্যে ওঁকারাখ্য পদ আমি” এই ওঁকার দুই প্রকার ; পরও অপর। অনন্ত ও সান্ত ৷ সাকার ও নিরাকার । এই অনন্ত ও সান্ত