পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२ ) দ্যাব পৃথিব্যোরিদমস্তরং হি ব্যাপ্তং ত্বয়ৈকেন দিশশ্চদৰ্ব্বা: | দৃষ্টীভূতং রূপংমিদং তবে গ্রং লোকত্ৰয়ং প্ৰব্যথিতং মহাত্মন। ২০ । ঙ্গে মহাত্মন! স্বর্গ ও পৃথিবীর এই উভয়ের যে অন্তর অন্তরিক্ষ এবং সমুদায় দিক্ একমাত্র তোম। কর্তৃক ব্যাপ্ত রহিয়াছে ; তোমার এই অদ্ভূত ভয়ঙ্কর রূপ দেখিয় ত্রিলোক অতীব ভীত দেখিতেছি ২০ এইরূপে তিন জ্যোতি ও তিন লোকের কথা বলিয়াছেন । এই বিশ্বরূপ দর্শনাধ্যায়ে স্থল সুহ্ম দি বহুবিধ ভাব একাধারে উক্ত হইয়াছে । তাহা সকলের সহসা বোধগম্য নহে। ভক্ত অর্জুন এই বিশ্বরূপ দর্শন, দিব্য চক্ষু প্রভাবে, অধিদৈব জগতে করিলেন অন্য কেহ করিতে পারে না, তাই অৰ্জুন বলিতেছেন তোমাকে কিরীটধারী গদাহুস্ত চক্রধানী এবং সৰ্ব্বত্র দীপ্তিমান তেজোরাশি রূপ দুদর্শনীয় চারিদিকে প্রদীপ্ত বহি ও স্বৰ্য্যসম ছাতিমান এবং অপ্রমেয় স্বরূপ দেখিতেছি ।১। অধিদৈব জগতে এ সকল মুক্তি বিদ্যমান। ভাগবত ১২ স্বন্ধে ১০ অধ্যায় দ্রষ্টব্য। পূর্ণ কিরীট চৰ্ম্ম চক্ষেও অভ্যাস দ্বারা দেখা যায়। তাই অৰ্জ্জুন এই মূৰ্ত্তি দর্শন করিয়াছিলেন; অন্ত যে কেহ তাধিদৈব জগতে প্রবেশ করিবেন তিনিই ইহা দর্শন করিতে পরিবেন । বিজ্ঞান ও ইহার অনুমোদন করিতেছে। এই দুই শ্লোকে সান্ত ও অনন্ত ভাবের কথাই উক্ত হইয়াছে। এই দুই ভাবই আর্য শাস্ত্রে প্রায়ই এক স্থানেই দেখিতে পাওয়া যায় । সেই জন্ত অনেকেই ইহাদের পার্থক্য বুঝিতে পারেন না। এই দুই ভাবের বিমিশ্রণ ন বুঝিয়া যথার্থ বস্তু নির্দেশ না করিয়া নিজেদের মন কল্পিত উপাসনায় রত হন এবং সাক্ষাৎভাবে অন্ত জগৎ ও বাহা জগৎ অর্থাৎ পিণ্ডািস্ত এবং ব্রহ্মাও এই উভয়ের সম্বন্ধ না জানিয়া প্রাদেশিকভাবে সাধনায় রত হন, তাহাতে সাধনার পূর্ণাঙ্গ লাভ হয় না . দিবসে শাস্ত ভাব রাত্রে অনন্তু ভাব ।