পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২৩ ) গীতোক্ত ধৰ্ম্ম সম্যকভাবে অনুষ্ঠিত হইলে, সৰ্ব্বাঙ্গীন পূর্ণভাবে সাধনার সিদ্ধিলাভ হয় । অৰ্জ্জুন সম্যক প্রকারের এই সাধন আশ্রয় করিয়া বিশ্বরূপাদি দর্শন করিয়াছিলেন এবং কুরুক্ষেত্র সমরের পরিণাম ও বিশ্বরূপ মধ্যে দর্শন করিয়াছিলেন । ভক্ত ভিন্ন এ রূপ দেখিতে সকলের অধিকার নাই । যিনি নিষ্কাম ভাবে, ভক্তিপুৰ্ব্বক বৈদিক ক্রিয় দেবযজ্ঞ অনুষ্ঠান করেন তিনি দর্শনের অধিকারী । তিনি ক্রমে শান্ত ভাব অতিক্রম করিয়া অনন্ত ভাব সাধন করিতে পরিবেন । "ভাগবতে কৃষ্ণবর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং* “অন্তঃকৃষ্ণং বহির্গে রং”এই দ্ব্যৰ্থ বাচক শ্লোকমধ্যে মহামনা বেদব্যাল স্বৰ্য্য পক্ষে, দেহ পক্ষে, কৃষ্ণ পক্ষে, সকল ভাবেই অর্থ করিবার আভাস দিয়াছেন। বিশ্বরূপ দর্শনে ভীত হইয়া শেষে “নররূপ সৌম্য মুৰ্ত্তি” দর্শন করিয়া যেন চেতন লাভ করিলেন । এই নর বপু ভগবানের সর্বশ্রেষ্ঠ কীৰ্ত্তি । তাই “চৈতন্ত চরিতামৃতকার” ললিয়াছেন “কৃষ্ণের যতেক খেলা, সৰ্ব্বোত্তম নরলীলা ; নর পপু তাহার স্বরূপ” । ২১ অধ্যায়, মধ্য ! যিনি পণপ স্বরূপ স্থল সুহ্ম, কারণ ও তুরীয় রূপে অবস্থিত সকলের নিয়ামক, তাহাকে ক্রমে ক্রমে সাধন দ্বারা ভেদ করিলে, তবে অতীন্দ্রিয় দিব্য রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিব । ইহা দিব্য জ্ঞান সাপেক্ষ, এবং ইহাই বেদোক্ত ‘শ্রদ্ধ৷ ” এই বিশ্বরূপ দর্শন না হইলে প্রকৃত ভক্তির উদয় হইতে পারে না । সেই জন্তই ইহার পর ভক্তি যোগের কথা উক্ত হইয়াছে। এই ভক্তি যোগের অধ্যায়ে একটি বিশেষ শিক্ষা দেখিতে পাওয়! ষায় । যাহারা অব্যক্ত ভাবে প্রত্যক্ষ ব্যক্ত ভাব ত্যাগ করিয়া সাধন করেন, তাহারা অশেষ দুঃখ ভোগ করিয়া থাকেন। সেই জন্ত দেহধারী মাত্রেই স্কুল ব্যক্ত ভাব অবলম্বন করিয়া সাধন