পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ২৯ ) দেব ; এবং প্রকাশের নুনতাও চঞ্চলত বশতঃ চন্দ্ৰম অম্বর। যে স্থানে প্রকাশ গুণের ফল স্বরূপ অভয়, চিত্তের প্রসন্নত প্রভৃতি গুণ গ্রামের আবির্ভাব হয় তাহাই দৈবী সম্পদ এবং দন্ত দৰ্প প্রভূতি দোষের কারণ গুলি অমরিক সম্পদের ফল । যাহার। অমুর প্রকৃতি বিশিষ্ট তাহার জগতে অশেষ যন্ত্রণ। ভোগ করিয়া থাকে । এই কৃষ্ণ জ্যোতি বা অমর প্রকৃতি য{হাদের প্রবল, তাহার শ্রেয় লাভ করিতে পারে না । এবং ভগবানকে লাভ করিতে পারে না । কাম, ক্রোধ এবং লোভ এচ তিনটিই নারকের দ্বার স্বরূপ, আত্মার নাশক ; এই জন্ত এই তিনটিকে পরিত্যাগ করিবে । এই তিনটি হইতে মুক্ত ব্যক্তি আপনার মঙ্গল আচরণ করেন এবং পরম গতি অর্থাৎ মোক্ষ লাভ করেন। এই দৈবামুর সম্পদ আমাদের নিকট অন্তরূপে আবিভূত হয়, তাহা আমাদের একরূপ বৃত্তিরূপে প্রকাশ পাইয়া থাকে । তাহাকে আমরা শ্রদ্ধ। শব্দে অভিহিত করিয়া থাকি । অন্তরে যাহার যেরূপ ভাব তাহ বাহিরে কার্য্যরূপে পরিণত হইবার সময় যেরূপে প্রকাশ পায় তাহাকেই শ্রদ্ধা বলে । সেই শ্রদ্ধা আবার সত্ব রজ তম ভেদে তিন প্রকারে প্রকাশিত হয়, এবং যজ্ঞ কার্য্যে ও এই ত্রিবিধ শ্রদ্ধার কাৰ্য্য লক্ষিত হইয় থাকে। ফলাকাজক্ষ রহিত মনুষ্যগণ কর্তৃক যজ্ঞ অবগু কৰ্ত্তব্য বলিয়াছেন । মনকে সমাহিত করিয়া বিধিবিহিত যে যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়, তাহা সাত্বিক যজ্ঞ । কিন্তু ফলের অভিসন্ধি করিয়া আর দন্তেরই জন্য যে যজ্ঞ করা হয়, সেই যজ্ঞকে রাজস যজ্ঞ জানিবে। বিধিহীন, অন্নদানহীন, মন্ত্রহীন, দক্ষিণাশূন্ত ও শ্রদ্ধাবিরহিত যজ্ঞ তামসিক বুলিয়া উক্ত হয় এই রূপ তপস্তা, আহারাদির ত্ৰিবিধ ভাব উক্ত হইয়াছে। তৎ সৎ ইহাদিগকে ব্রহ্মের ত্রিবিধ নাম বলা হয়। তদ্বার