পাতা:গীতাসার - বলাইচাঁদ মল্লিক.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

כיס ) যজ্ঞ দান ও তপই মনীষিগণের পাবন । হে পার্থ ! কিন্তু এই সব কৰ্ম্মও আসক্তি ও ফলত্যাগ পূৰ্ব্বক কৰ্ত্তব্য বোধে অনুষ্ঠান করা উচিত। ইহাই আমার নিশ্চি ত মত; এবং তিনি প্রতিজ্ঞ করিয়াও বলিতেছেন । এই কার্য্য করিলে নিশ্চয়ই প্রণবরূপী আমাকে পাইবে। সেই পূর্ণ প্রণবরূপী ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণে চিত্ত সমর্পণ কর এবং তাহারই ভক্ত হও ও যজন কর এবং সৰ্ব্বতোভাবে নমস্কার কর, তাহ হইলে তাহকে পাইলে । ৬৫ ৷ শ্ৰীমদ্ভাগবতে একাদশ স্কন্ধে উদ্ধবকে আরও স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন "আকাশাত্মা সমষ্টিরূপী আমতে মন দ্বারা শব্দ ভাবনা করিয়া জীবগণ আকাশাভিব্যক্ত বাক্য সকল শ্রবণ করে এবং চক্ষুকে স্বৰ্য্যে ও স্বৰ্য্যকে চক্ষুতে যোজনা করিয়া তাহাতে মন দ্বার আমাকে চিন্তা করিয়া দূর হইতে এই জগৎকে দর্শন করে । ইহার পূৰ্ব্বে গীতায় বলিয়াছেন— ঈশ্বরঃ সৰ্ব্বভূতানাং হৃদেশেইজন তিষ্ঠতি । ভ্রমথুন সৰ্ব্বভূতানি যন্ত্রারূঢ়ানি মায়য় ॥ ৬১ ৷ হে শুদ্ধসত্ব অর্জুন ! ঈশ্বর মায়ার দ্বারায় দেহ, বস্ত্রারূঢ় ভূতগণকে ভ্রমণ করাইয়া সৰ্ব্বভূতের হৃদেশে অবস্থিতি করিতেছেন। তিনি হৃদয়ে অর্থাৎ মস্তকে অবস্থিত হইয়া প্রাণিনিচয়কে পরিচালিত করিতেছেন। কুৰ্ম্মশক্তি যেরূপ পঞ্চবিধ রূপে ক্রিয়া করিয়া থাকে, সেইরূপ তিনি আমাদের ভিতরে অবস্থিত হইয়া আমাদিগকে প্রধানতঃ পঞ্চবিধ ক্রিয়ায় চালিত করিতেছেন। তমেব শরণং গচ্ছ সৰ্ব্বভাবেন ভারত | তৎ প্রসাদাৎপরাং শান্তিং স্থানং প্রাপস্যসিশাশ্বতম্৷৬২৷ হে ভারত ! সৰ্ব্বতোভাবে তাহারই শরণ গ্রহণ কর, তাহারই প্রসাদে পরম শাস্তি ও শাশ্বত স্থান প্রাপ্ত হইবে । এই