পাতা:গীতা-গ্রন্থাবলী (উপেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়).djvu/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তর গীতা । ל"לל • শ্ৰীভগবানুবাচ। উৰ্দ্ধপূর্ণমধঃপূর্ণং মধ্যপূর্ণং যদাত্মকম্। সৰ্ব্বপূর্ণ স আত্মেতি সমাধিস্থস্য লক্ষণমূ ॥ ৩৬ ॥ অৰ্জুন উবাচ। সালম্বস্তাপ্যনিত্যত্বং নিরালম্বস্ত শূন্তত । উভয়োরপি দোষিত্বাং কথং ধ্যায়ন্তি যোগিন: ॥৩৭ ॥ শ্ৰীভগবান্তবাচ। হৃদয়ং নিৰ্ম্মলং কৃত্বা চিত্তয়িত্ব হন্যময়ম্। অহমেকমিদং সৰ্ব্বমিতি পশ্যেৎ পরং সুখী ॥ ৩৮ ৷৷ চিন্তা করা নিতান্ত অসম্ভব, আর এই দৃশ্যমান জগৎও অনিত্য ; অতএব যদি অদৃশ্য পদার্থের চিন্তন অসম্ভব এবং দৃশ্যমান পদার্থও বিনশ্বর হইল, তবে মাহীকে দেখিতে পাওয়া যায় না, সেই নামরূপাদি-বিহীন পরব্রহ্মের ধ্যান কিরূপে করিবে ? কৃপা করিয়া এই সমস্ত বর্ণন পূৰ্ব্বক আমার সংশয় দূর করুন ॥ ৩৫ ৷ শ্ৰীকৃষ্ণ পূৰ্ব্বে নিরালম্ব সমাধি বর্ণন করিয়াছিলেন, কিন্তু অর্জন অজ্ঞের স্বায় তাহা না বুঝিয় জিজ্ঞাসা করাতে এক্ষণে সাবলম্ব সমাধির লক্ষণ বর্ণন করিতেছেন।—তিনি কহিলেন, চে পার্থ ! যিনি উদ্ধ, অধঃ ও মধ্যে অর্থাৎ সৰ্ব্বস্থানে পরিপূর্ণ রহিয়াছেন,তিনি আত্মা এবং যিনি সেই আত্মাকে তাদৃশভাবে চিন্তা করেন,তিনিই সমাধিস্থ আর তাদুশ চিন্তাকেই সাবলম্ব সমাধি কহে ॥৩৬ ধনঞ্জয় জিজ্ঞাসা করিলেন, হে কেশব ! যদি আত্মা সাবার হন, তাছা হইলে তিনি নশ্বর সন্দেহ নাই, কারণ, বাবতীয় দৃশুমান সাকার পদার্থই বিনাশশীল। যদি তাহাকে নিরাকার বলা যায়, তাছা হইলে তিনি শুই ; সুতরাং আকাশ-কুসুমাদির স্তায় সন্দেহ নাই ; অতএব যাহা নশ্বর অথবা শূন্ত, তাঙ্গকে যোগিগণ কি প্রকারে হৃদয়ে ধ্যান করিবে ? ৩৭। অৰ্জুন এইরূপ জিজ্ঞাসা করি । বাসুদেব পুনরায় সবিস্তার সাবলম্ব সমাধির লক্ষণ বর্ণন করিতে আরম্ভ করিলেন। তিনি কহিলেন, চে অর্জুন ! রাগ, দ্বেষ প্রভৃতিই হৃদয়ের মল, সেই মলসমূহ বিধৌত করিয়া অনাময় পরমাত্মাকে ধ্যান করত “আমিই অখণ্ড বিশ্ব” এইরূপ অবলোকন করিতে হইবে। এই প্রকারে আপনাকে জগৎস্বরূপে অবগত হইলেই চিদানন্দ সুখ লাভ করা যায় ॥ ৩৮ ॥