*>२ মঙ্কি গীতা । তস্মাৎ কামশ্চ লোভশ্চ তৃষ্ণ কার্পণ্যমেব চ। ত্যজন্তু মাং প্রতিষ্ঠন্তং সত্ত্বন্থে হস্মি সাম্প্রতম্ ॥ ৪৬ ৷ প্রচয় কামং লোভঞ্চ স্থখং প্রাপ্তোভস্মি সাম্প্রতম্। নান্ত লোভবশং প্রাপ্তে। দুঃখং প্রাপ্যাম্যনাত্মবান্ ॥ ৪৭ ৷ যদ্যুত্ত্যজতি কামানাং তং মুখস্তাভিপূৰ্য্যতে । কণমস্ত বশগো নিত্যং দুঃখমেব প্ৰপদ্যতে ॥ ৪৮ { কামাতুবন্ধং হুদতে যৎকিঞ্চিৎ পুৰুষে রজঃ । কামক্রোপোদ্ভবং দুঃথমইীররতিরেব চ ॥ ৪৯ ॥ এয ব্রহ্মপ্রতিঙ্গে।ইহুং গ্রীষ্মে শীতমিব হুদম্। শাম্যামি পরিনিৰ্ব্বামি সুখং মামেন্তি কেবলম্ ॥ ৫৪ ৷ যচ্চ কামসুখং লোকে স্থা দিব্যং মতং মুখম্। তৃষ্ণক্ষয়মুখস্তৈতে নাহ ত: ষোড়শং কলম্।। ৫১ ৷ কামমতঃপরং সন্তে ইত্ব শক্ৰমিবোত্তমম্। প্রাপ্যাবধ্যং ব্রহ্মপুরং রাজেব অ্যামহং সুপাঁ ॥ ৫২ ৷ -l-അബ് অত:পব কাম, লোভ, তৃষ্ণ, দীনতা আমাকে ছাড়িয়া দরে প্রস্তান করুক, আমি এক্ষণে লোভপরিশূন্ত স্পষ্টয় মুখী হইয়ছি। আর কখনও অজিতেন্দ্রিয় পুরুষের স্কায় লোভের বশীভূত হইব না এবং কদাচিৎ দুঃথ ভোগ করিব না ॥ ৪৬-৪৭ ॥ যিনি কামকে যে পরিমাণে পরিত্যাগ করিতে সক্ষম হন, তিনি সেই পরিমাণে সুখ ৪ লাভ করিতে পারেন। কামনার অধীন পুরুষ নিয়তই কষ্ট ভোগ করে। রজোগুণবশেই লোকের কামনার উৎপত্তি হয় এবং কাম ও ক্রোধের বশীভূত হইয়াই বিবিধ দুঃখ, নিলজত ও অসুস্তভাবের উদ্রেক হয়, অতএব রজোগুণ পরিত্যাগ করাই সৰ্ব্বতোভারে শ্রেয়ঙ্কর । এক্ষণে আমি গ্রীষ্ম-ঋতুতে স্বশীতল হ্রদজলের কায় পরব্রহ্মকে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছি এবং সমুদায় কার্য হইতে নিবৃত্ত হইয়। যথার্থ সুখ অঙ্গভব করিতেছি। কামজনিত ঐহিক মুখ ও পারত্রিক মুখ সমুদয় তৃষ্ণক্ষয়জনিত । সুখের ষোড়শাংশের একাংশ ও নহে ॥ ৪৮-৫১ ৷ * অতঃপর আমি ভয়ানক শক্রর ন্যায় কামকে বিনাশ করিয়া শাশ্বত ব্ৰহ্মরূপ আনন্দময় আবাসে প্রবেশ করিব এবং রাজরাজেশ্বরের স্থায় পরম মুখে অবস্থিতি করিব ॥ ৫২ ৷
