পাতা:গুচ্ছ - কাঞ্চনমালা বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বশীকরণ।

লিখিয়ছিল। বিভার ভবিষ্যৎ মালিককেও এক খানা পত্র লিখিয়াছিল, কিন্তু তাহার সে কাব্যের উৎস পুলিনের নীরস মরুভূমিতে পড়িবামার শুকাইয়া গিয়াছিল। এই সময়ে ভগবান অগতির গতি নির্দ্দেশ করিবার জন্য শোভাকে দেশে পাঠাইয়া দিলেন।

 শোভা দেশে ফিরিয়া শুনিল যে বিভা শ্বশুর গৃহে। বিভার মাতার মুখে সে বাল্যসখীর দূরদৃষ্টের কথা শুনিয়া তাহার সহিত দেখা করিবার জন্য বড়ই ব্যস্ত হইয়া পড়িল। তাহার অনুরোধে বিভার মাতা বিভাকে আনিতে পাঠাইলেন, পুলিনের পিতা বাক্যব্যয় না করিয়া বধূকে পিত্রালয়ে পাঠাইয়া দিলেন। দীন, মলিনা পুত্রবধূর মূর্ত্তি তাঁহার চক্ষে অসহ্য হইয়া উঠিয়াছিল, তিনি বধূকে পিত্রালয়ে পাঠাইয়া হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলেন। বিভা পিত্রালয়ে আসিল, দুই সখীতে মিলন হইল, শোভা অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিল, কিন্তু উত্তর পাইলনা, কারণ বিভা কাঁদিয়া ভাসাইয়া দিল।

 শোভা ছাড়িবার পাত্রী নহে, সে নানা উপায়ে সখীর মনের গোপন কথাগুলি জানিয়া লইল। সমস্ত জানিয়া সে বিভাকে অভয় দিয়া বলিল “তোর কোন ভয় নাই, আমি এর বিহিত করিব।” বিভা আশ্বাস পাইয়া আশায় বুক বাঁধিল।

(৩)

 শিক্ষকতা করিয়া ছাত্র মহলে পুলিনের খুব প্রশংসা হইয়াছিল। অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাহার বেতন বৃদ্ধি হইল, সে পাটনায় বদলী হইল। শোভা যখন দেশে ফিরিল, পুলিন তখন পাটনায়। পাটনায় একটি সুন্দর ছোট বাঙ্গলায় পুলিনের বাস। সে কাহারও সহিত

১৫৯