পাতা:গুচ্ছ - কাঞ্চনমালা বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বশীকরণ।

বেশ বেশ, প্রভা মেয়েটি যেমন শান্ত তেমনি সুন্দরী, কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনও একটি বর জুটল না? সেই দুঃখেই প্রভা দিন দিন যেন কাল হয়ে যাচ্চে।” পুলিন উত্তর খুঁজিয়া না পাইয়া মাথা চুলকাইতে লাগিল। ঘোষাল মহাশয় অকারণে বেজায় হাসিতে আরম্ভ করিলেন। পুলিন ও বিভা দুইজনে আরও অপ্রস্তুত হইয়া গেল। এমন সময়ে শোভা আসিয়া তাহাদিগকে উদ্ধার করিল। সে পিছন হইতে বলিয়া উঠিল “ঠাকুরটি দেখছি সর্ব্বঘটেই আছেন। বাড়ীতে নিরিবিলি কারুর দুটো কথা কহিবার যে নাই।” নিশীথ বাবু বলিলেন “কি জান, বিবাহিত পুরুষের সহিত অবিবাহিতা যুবতীর গোপনে আলাপ করাটা সকলে ততদূর সঙ্গত মনে করে না। তবে আমার তাহাতে বিশেষ আপত্তি নাই।” প্রভা কুন্দ দন্তে অধর টিপিয়া তাঁহাকে একটি ছোট কিল্ দেখাইল, তখন হাসিতে হাসিতে কাশিতে কাশিতে ঘোষাল মহাশয় রণে ভঙ্গ দিলেন পুলিন ও বিভা পলাইয়া বঁচিল।

(৮)

 এইরূপে বড় সুখেই কিছুদিন কাটা গেল। ইতিমধ্যে সংবাদ আসিল, যে শোভার ছোট ভগিনীর বিবাহ, তাঁহাদিগের সকলকে দেশে ফিরিতে হইবে। শোভা জেদ করিয়া বসিল যে, পুলিন না গেলে সে যাইবে না। ঘোষাল মহাশয় বলিলেন “পুরাতনে কি আর মন উঠে না?” শোভা রাগিয়া একটি কিল্ দেখাইল, পুলিন সেইখানে বসিয়াছিল। সে হাসিয়া বলিল “দ্বন্দ্ব যুদ্ধটা না হয় পরেই করবেন? এখন আমার ছুটীনাই, কি করিয়া দেশে যাইব?”

 শোভা। তাহা আমি জানিনা, কিন্তু তোমাকে যাইতেই হইবে।

১৬৯