পাতা:গুচ্ছ - কাঞ্চনমালা বন্দ্যোপাধ্যায়.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পরিবর্ত্তন।

 “ওমা কি ঘেন্না, কি লজ্জা, এমন তো কখনও দেখিনি! হ'লেই বা সৎ-শাশুড়ী, তাই বলে কি কচি বৌটাকে এমন ক’রে মেরে ফেল্‌তে হয়? আহা! দুধের মেয়ে ওকি কখনও একাদশী কোর্ত্তে পারে! তুই আবার আমাকে শাস্ত্র দেখাতে আসিস্‌, তোর একটু লজ্জা হ’ল না। আমি না তোর মার বয়েসী! শাস্তর। বাচ্‌পোতের মেয়েটা ন’বছর বয়সে রাঁড় হ’ল, হরি বাচ্‌পোত, তখন তার তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকেছে, সে নিজে হাতে তাকে একাদশীর দিন ভাত খাইয়েছে, তা’ আমি নিজ চক্ষে দেখিছি। আম্বুবতীর তিন দিন আগে থেকে বড় হাঁড়ায় ক’রে ভাত ভিজিয়ে রাখত। মিত্তিররা তা’ না হয় একে বড় লোক, তার কায়েত, তাদের কথা ছেড়েই দিলুম। তুই না মেয়ের মা, পরের মেয়ের সঙ্গে এ রকম ব্যাভার কোর্তে তোর একটু বাধে না গা! তোর মেয়ে কি কখনও রাঁড় হবে না, কখনও একাদশী কোর্ত্তে হবে না? আমি আজকের নই, আমি এখন মরছি নি, আমিই আবার আস্‌বো, দেখে যাবো ধরে এর বিচার করেন কিনা! এই বোশেখ মাসের রদ্দূর, তুই কিন কচি মেয়েটাকে এক ফোঁটা জল না দিয়ে রেখেছি। এর ফল তোকে হাতে হাতে ভূগতে হবে। ধম্মে সইবে না, সইবে না।”

 দম বন্ধ হইবার উপক্রম বামা ঠাকুরঝিকে বাধ্য হইয়া খামিতে হইল। বৈশাখের দ্বিপ্রহরে সূর্য্যের প্রখর উত্তাপে চারিদিক দগ্ধ

৬৮