পাতা:গুঞ্জন - বিজন কুমার আচার্য্য.pdf/৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুঞ্জনের কবি শ্ৰীমান বিজনকুমার আচার্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কৃতী ছাত্র । বিশ্ববিদ্যালয়কেই আজও আশ্রয় করে আছেন । তিনি স্বভাবে স্বভাব-কবি । বহু কবিতাই লিখেছেন । রচনায় অনায়াস-প্রয়াস চখে পড়ে । ‘গুঞ্জন" তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ । যে গুঞ্জন আপনাদের শ্রবণে আজ তিনি ধ্বনিত ক’রে তুলেছেন, বলা বাহুল্য যে, এ কোনও কুসুমকুঞ্জে মধুসন্ধানী ভ্রমরের অশ্রাস্ত গুঞ্জন নয় । এ গুঞ্জন একান্ত নিভৃত পরিবেশে কণ্ঠলগ্ন প্রিয়ার কানে কানে প্রণয়বিহুবলের অস্ফুট মৃদ্ধ বাণী, যে বাণী তার মূর্ছনার গুণে অমুরণিত করে তুলেছে বাগেদবীর বীণার তারে ছন্দমধুর মুরঝংকার । এতে বিরহের অমিত্রাক্ষর মন্দাক্রাস্তা নেই, অাছে মিলনের ললিত মিত্রাক্ষর আছে মালতীলতা, চম্পকাবলি । কিন্তু, প্রেমের কাব্য বলতে যা বোঝায় গুঞ্জন’ সে জাতীয় কাব্য নয়। একে গীতিক{ব্যও বলা চলে না । এ একখানি স্বচ্ছনাগতি সরলবোধ্য খণ্ডকাব্য, যে কাব্য ফুলের নীরব ভাষাকে সরব ক'রে তোলে, চন্দ্রালোকের রহস্যময় অবগুণ্ঠন খুলে দেয়, ফান্ধনের দক্ষিণ সমীরণের সঙ্গে অঙ্গে অঙ্গে আনে শিহরণ । মানুষ এ কাব্যগীতি ভালবাসে মিলন অভিসারের আনন্দ-আবকাশে । এ কাব্যের স্থতিকাগারও সেইখানেই । কবি তাই গুঞ্জনের ‘আমুখ’ শ্লোকে অকপটে স্বীকার করেছেন— “বিমলানন্দ আনিল ছন্দ পরাণে টানি, দিয়ে তাই রচি এই গীতি-মালা কণ্ঠে তোমার জুলাইমু ৰালা—” ബ लिन