পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
দারোগার দপ্তর, ১৩৪ সংখ্যা।

স্থানে পুলিষের হস্তে পতিত হইলে আমাদিগের আর কোনরূপেই নিষ্কৃতি নাই। তখন অনন্যোপায় হইয়া ঐ মৃতদেহ লইয়া আমি সেই স্থান হইতে প্রস্থান করিলাম, ও উহা এই স্থানে লুকাইয়া রাথিয়া সেই সময়ের নিমিত্ত পুলিষের হস্ত হইতে নিষ্কৃিতি লাভ করিলাম। কিন্তু কিরূপ উপায়ে ঐ মৃতদেহের অস্তিত্ব নাশ করিতে পারিব ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহার কিছুই স্থির করিতে পারিলাম না। আমরা যে স্থানে বাস করিতেছি সেই স্থান হইতে একটা মৃতদেহের সহজে অস্তিত্ব নষ্ট করা নিতান্ত সহজ নহে। হিন্দু পরিচয়ে শব দাহ করিবার জন্য কোন স্থানে উহাকে লইয়া গেলে সহজে ঐ শব দাহ করিতে সমর্থ হইব না, কারণ ঐ মৃতদেহ যে দর্শন করিবে সেই বলিবে বিষপানই ইহার মৃত্যুর কারণ। সুতরাং পুলিষের বিনা অনুমতিতে কিছুতেই উহারা ঐ মৃত দেহ ভস্মীভূত করিতে দিবে না। অথচ পুলিষের নিকট হইতে অনুমতি প্রাপ্ত হওয়াও সহজ নহে। মৃতদেহ ভষ্মীভূত করিবার অনুমতি প্রাপ্ত হওয়া দূরের কথা, পুলিশ যখন ইহার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করিবে তখন আমাদিগের জীবন রক্ষা সহজ হইয়া পড়িবে না। আর কবর স্থানে ঐ মৃত দেহ প্রোথিত করিবার নিমিত্ত লইয়া গিয়া ভয়ানক বিপদ হইতে যেরূপে জীবন রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছি, তাহা তুমি নিজেই অবগত আছ; সুতরাং কিরূপ উপায় অবলম্বন করিলে আমরা কোনরূপে বিপদগ্রস্ত হইব না অথচ মৃতদেহের অস্তিত্ব নাশ করিতে সমর্থ হইব তাহাই ভাবিতেছিলাম, কিন্তু ভাবিয়া চিন্তিয়া তাহার কোনরূপ উপায় স্থির করিয়া উঠিতে পারিতেছিলাম না। আজ মনে করিতেছিলাম, যদি কোনরূপ উপায়ে ঐ মৃতদেহের অস্তিত্ব নাশের কোনরূপ উপায় স্থির করিয়া উঠিতে না পারি তাহা হইলে ঐ মৃতদেহ এই