সে যাহা হউক এখন তারামণি জীবিত, মসলিম্ বিচারকের নিকট হইতে অব্যাহতি পাইয়া তাহার দলবল বা বন্ধুবান্ধবের সহিত স্থানান্তরিত।
প্রধান কর্মচারীর ইচ্ছা যে, তারামণির ঘরস্থিত লোহার সিন্দুকের অভ্যন্তরিণ প্রাপ্ত মৃত দেহের রহস্য যাহাতে উদঘাটিত হয়। এই নিমিত্তই তিনি আমাদিগের উপর ইহার পুনঃ অনুসন্ধানের ভার অর্পন করিয়াছেন।
এখন এই অনুসন্ধানে লিপ্ত হইবার পর আমাদের মনে এই সন্দেহ আসিয়া উপস্থিত হইল যে মতিয়া বিবির মৃত দেহের সহিত, তারামণির লোহার সিন্দুকের মধ্যস্থিত মৃত দেহের কোনরূপ সম্বন্ধ আছে কি না? আর যদি সম্বন্ধই থাকে তাহা হইলেই বা কিরূপে ইহার যথাযথ অবস্থা নির্ণয় করিতে আমরা এখন সমর্থ হইব। ইতিপূর্ব্বে যে পর্য্যন্ত মসলিম্ ও তাহার অনুচরবর্গ আমাদিগের আয়ত্তাধিনের ভিতর ছিল তখন তাহাদিগের নিকট হইতে এ সম্বন্ধে কোন কথা প্রকাশ পাই নাই। এখন উহারা সকলেই আমাদিগের হস্তের বহির্ভূত হইয়া পড়িয়াছে ও কোথায় যে এখন ইহাৱা গমন করিয়াছে তাহার কিছুই আমরা এখন স্থির করিয়া উঠিতে পারিতেছি না; সুতরাং এই মোকদ্দমায় প্রধান কর্ম্মচারীর শেষ আদেশ যে আমরা কত দুর প্রতিপালন করিতে পারিব, তাহা পাঠকগণ অনায়াসেই অনুমান করিয়া লইতে পারেন। সে যাহা হউক, এখন দেখা যাউক তারামণি রহস্য কি? যে তারামণি হত হইয়াছে বলিয়া সর্ব্বসাধারণে অবগত হইয়াছিলেন, যাহার হত্যা সংবাদ, সংবাদ পত্র সম্পাদকগণ দ্বারে দ্বারে প্রচারিত করিয়াছিলেন; সেই তারামণির এখন জীবিতাবস্থায় সর্ব্ব সমক্ষে