বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গুপ্ত রহস্য - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গুপ্ত-রহস্য।
৪১

মস‍্লিম প্রভৃতির নামে হত্যা মোকর্দ্দমার অবতারণা করি। তাহা বলিয়াই যে এ মোকর্দ্দমার অনুসন্ধান একেবারে পরিত্যাগ করিতে হইবে তাহাই বা বলি কি প্রকারে। ঐ মৃত দেহ বেলার মৃত দেহ বলিয়া সনাক্ত না হইলেও এখনও একটু সামান্য পথ আছে। বেলার অঙ্গে সুবর্ণ বা পিত্তল নির্ম্মিত যে সকল অলঙ্কার ছিল তাহার কোন অলঙ্কার যদি মস‍্লিম বা তাহার দলস্থিত অপর কোন ব্যক্তির নিকট হইতে প্রাপ্ত হওয়া যায় তাহা হইলেও এই মোকর্দ্দমার অনুসন্ধানের পথে আমরা অনেক দূর অগ্রগামী হইতে পারিব।

অষ্টম পরিচ্ছেদ।

 দস্যগণ যে বাড়ীতে তারামণীকে আবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল, প্রথমতঃ তারামণীর সাহায্যে সেই বাড়ীটী কোথায় তাহার অনুসন্ধান করিতে আরম্ভ—করিলাম। পূর্ব্বে যখন তারামণীকে উহারা তারামণীর বাড়ী হইতে আনয়ন করিয়াছিল তখন তাহারা গাড়ীর ভিতর তারামণীকে বন্ধ করিয়া আনিয়াছিল ও পরিশেষে যখন তাহারা তারামণীকে লইয়া বিচার গৃহে উপনীত হয় তখনও তারামণীকে গাড়ীর ভিতর বন্ধ করিয়া লইয়া গিয়াছিল; অথচ যে পর্য্যন্ত তারামণী সেই গৃহে বাস করিয়াছিল তাহার মধ্যে ক্ষণ কালের নিমিত্ত সে ঐ বাড়ীস্থ বাহিরে যাইতে পারে নাই সুতরাং ঐ বাড়ীটী যে কোন স্থানে স্থাপিত তাহা তারামণী জানিত মা, সুতরাং অনুসন্ধান করিয়া ঐ বাড়ী বাহির করা নিতান্ত সহজ হইল না। ঐ বাড়ীর দরওয়াজার সম্মুখে যে রাস্তা আছে তাহাতে গাড়ী যাইতে পারে, এ কথা তারামণী আমাদিগকে বলিয়াছিল।