সিন্ধুকের ভিতর পাওয়া গিয়াছে; ইহা অকাট্য সত্য হইলে ও ইংরাজ আইনের গুণে যে কথা প্রমণিত করিতে পারিলাম না। বেলাকে হত্যা করার প্রধান প্রমাণ তারামণী, কিন্তু সে বলিতে পারে না যে স্ত্রীলোকটীকে তাহার সম্মুখে হত্যা করা হইয়াছে তাহার নাম বেলা। যে মৃতদেহ লোহার সিন্ধুকের মধ্যে প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে উহা যে বেলার মৃতদেহ তাহা প্রমাণ করিবার ক্ষমতাও আমাদিগের নাই কারণ সেই সময় ঐ মৃতদেহ সনাক্ত হয় নাই বা উহার ফটোগ্রাফ প্রভৃতি কিছুই সেই সময় লওয়া হয় নাই, কারণ মৃতদেহ যখন পাওয়া যায় সেই সময় উহা নিতান্ত গলিত অবস্থায় ছিল; ফটোগ্রাফ লইবার কোনরূপ উপায় ছিল না। সুতরাং মস্লিম্ ওরফে ওসমান আলির উপর খুনি মকর্দ্দমা কোন রূপেই রুজু হইত পারিল না।
উভয় মোকর্দ্দমাই কিন্তু আমরা পরিশেষে বিচারার্থ প্রেরণ করিলাম। মেজিষ্ট্রেট সাহেব সমস্ত প্রমাণাদি গ্রহণ করিয়া তিনিও এই মোকর্দ্দমার প্রকৃত অবস্থা উত্তমরূপে বুঝিতে পারিলেন কিন্তু তিনি নিজে উহাদিগকে কোনরূপ দণ্ডে দণ্ডিত না করিয়া উপযুক্ত দণ্ডে দণ্ডিত হইবার নিমিত্ত তিনি উহাদিগকে দায়ৱায় সোপরদ্দ করিলেন।
দায়রার বিচারে সর্ব্বপ্রথম এক মহাতর্ক উখিত হইল। একবার যখন তারামণীকে হত্যা করা অপরাধে ও তাহার অলঙ্কারপত্র অপহরণ করা অপরাধে মস্লিমের বিচার হইয়া সে অব্যাহতি পাইয়াছে তাহার উপর তখন এই মোকর্দ্দমা পুনরায় চলিতে পারে না। এই তর্কের মিমাংসা পরিশেষে হাইকোর্ট হইতে হইয়া মস্লিমের পুনরায় বিচার হয়, ও বিচারে তারামণীর