পাতা:গুরুদক্ষিণা - প্রভাষ ঘোষ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গুরুদক্ষিণা অনিষ্ট করে না—তাদের অকারণে মেরে আমি আমার শক্তি ও পুণ্য ক্ষয় করবার আর ইচ্ছা করি না, আমায় মাপ কর বন্ধু। আমি আজ আসি । বসন্ত—কোথায় যাবে ? একলব্য—হস্তিনাপুরে কুরু-পাণ্ডবদের অস্ত্রশিক্ষা-গুরু দ্রোণাচার্য্যের কাছে অস্ত্র শিক্ষা করতে যাবো । কিষণ—তিনি নিষাদকে শিক্ষা দেবেন কেন ? একলব্য—তা ত’ জানি না । গত-কাল তাকেই আমি মনেমনে গুরুর পদে অভিষিক্ত করেছি। ফিরিয়ে দেন ত’ এখানে আর ব্যাধের বেশে ফিরবো না । মানুষ হয়ে তবে ফিরবো । আসি আলিঙ্গন দাও বন্ধু ! বসন্ত—বন্ধু ! একলব্য—ছিঃ, শুভ কাজে, শুভ বাসনায় বাধা দিও না । ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা কর, যেন তোমার ব্যাধ-বন্ধু সত্যকার মানুষ হয়ে তোমাদের মধ্যে ফিরে আসতে পারে ; যেন, সবাই জানতে পারে, বুঝতে পারে, ব্যাধের রক্তে আর অন্য কোন মানুষের রক্তে কোন প্রভেদ নেই। [ প্রস্থান কিষণ—ব্যাধের ছেলের আস্পর্দ্ধার কথা শুনে লোকে যা হাসবে—তাই-ই আমি ভাবচি আর হাসচি। বসন্ত—তোমায় ভেবে আর হাস্তে হবে না ! চুপ কর । কিষণ—রাগ যে বড় দেখ চি ; আর তা ব’লে বন্ধুকে মিলবে >Wシ