পাতা:গুরু - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b- . গুরু এস আমরা এদের এখান থেকে বাহির করে দিয়ে আমাদের আয়তনের সমস্ত দরজাগুলো আবার একবার দ্বিগুণ দৃঢ় করে বন্ধ করি । । উপাধ্যায়। এরাই আমাদের বাতির করে দেবে, সেই সম্ভাবনাটাই প্রবল বলে বোধ হচ্ছে । প্রথম যুনক। অচলায়তনের দরজার কথা বলচ–সে আমরা আকাশের সঙ্গে দিব্যি সমান করে দিয়েছি । উপাধ্যায়। বেশ করেছ ভাই ! আমাদের ভারি অসুবিধা হচ্ছিল । এত তালা-চাবির ভাবনাও ভাবতে হত । মহাপঞ্চক। পাথরের প্রাচীর তোমরা ভাঙতে পার, লোহার দরজা তোমরা খুলতে পার, কিন্তু আমি আমার ইন্দ্রিয়ের সমস্ত দ্বার রোধ করে এই বসলুম—যদি প্রায়োপবেশনে মরি তব তোমাদের হাওয়া তোমাদের আলো লেশমাত্র আমাকে স্পশ করতে দেব না । প্রথম যুনক। এ পাগলটা কোথাকার রে! এই তলোয়ারের ডগ দিয়ে ওর মাথার খুলিটা ফাক করে দিলে ওর বৃদ্ধিতে একট হাওয়া লাগতে পারে। মহাপঞ্চক। কিসের ভয় দেখাও আমায় ! তোমরা মেরে ফেলতে পার, তার বেশি ক্ষমতা তোমাদের নেই । প্রথম যুনক। ঠাকুর, এই লোকটাকে বন্দী করে নিয়ে যাই— আমাদের দেশের লোকের ভারি মজা লাগবে। দাদাঠাকুর । ওকে বন্দী করবে তোমরা ? এমন কী বন্ধন তোমাদের হাতে আছে ! দ্বিতীয় যুনক। ওকে কি কোনো শাস্তিই দেব না ? দাদাঠাকুর । শাস্তি দেব ! ওকে স্পশ করতেও পারবে না। ও আজ যেখানে বসেছে সেখানে তোমাদের তলোয়ার পৌছয় না !