পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গাহদাহ ܬܠ প্রতি তাঁহার স্নেহ প্রতিদিন গভীর ও অকৃত্রিম হইয়া উঠিতে লাগিল । এমন কি, সময়ে সময়ে কন্যার বিরদ্ধে তাঁহার মনের মধ্যে অভিশাপের ন্যায় উদয় হইত যে, YDD B BBL OB DBD DD DS BBBDD DDBD DDB DuDDS BBBS BB BD একদিন ইহার শাস্তি ভোগ করে । এই ব্যাপারে মহিম তাঁহার দ্য চক্ষের বিষ হইয়া গিয়াছিল সত্য, কিন্তু তাই বলিয়া তাঁহার কন্যা যে নারীধম জলাঞ্জলি দিয়া সবামীত্যাগের গভীর দম্প্রকৃতি সবাঙ্গে বহিয়া তাঁহারই গহে আসিয়া উঠিবে, ইহা তিনি সবপ্নেও ভাবেন নাই ; এবং এই মহাপাপে যে ব্যক্তি সাহায্য করিয়াছে, সে যত বড় হউক, পিতার মনের ভাব যে তাহার বিরদ্ধে করােপ বকিয়া দাঁড়াইবে, ইহাও অনমান করা কঠিন নহে । অন্যপক্ষে, পিতার প্রতি কন্যার মনোভাব পাবে যেমনি থাক, সেদিন তিনি শাধমাত্র টাকার লোভেই মহিমকে বজন করিয়া সরেশের হাতে তাহাকে সমাপণ করিতে বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন, এবং পরিশোধের কোন উপায় না থাকা সত্তেৰও তাহার কাছে ঋণ গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেদিন হইতে মানষ হিসাবে কেদারবাব অচলার চক্ষে অত্যন্ত নামিয়া গিয়াছিলেন । কিন্তু সেই অশ্রদ্ধা শতগণে বাড়িয়া গিয়াছিল কাল রাত্রে, যখন সে সবকণে শনিতে পাইল, তিনি নিজের কন্যার চরিত্রের সম্পবন্ধে গোপনে দাসীর মতামত গ্রহণ করিতেও সত্তেকাচ বোধ করিলেন না । কিন্তু সেই সঙ্গে অচলা আজি আপনাকেও দেখিতে পাইল । তাহার সবাঙ্গ রোমাঞ্চিত হইয়া চোখে পড়িল, যে মহাতে সে স্বামীকে নিজের মাখে বলিয়াছে, তাহাকে সে ভালবাসে না, সেই মাহতেই নারীর সবোত্তম মযাদাও জগৎসংসার হইতে তাহায় জন্য মাছিয়া গিয়াছে। তাই আজ সে স্বামীর কাছে ছোট, পিতার কাছে ছোট, নিজের পরিচারিকার কাছে ছোট, এমন কি সেই সমরেশের মত লোকের চক্ষেও আজ সে এত ছোট যে তাহাকে লালসার সঙ্গীনী কলপনা করাও তাহার পক্ষে আর দরাশা নয়। কিন্তু সত্যই কি সে তাই ? এমনি ছোট ? এই ত. সেদিন সে যাহার ভালবাসাকেই সবজয়ী করিতে সমস্ত বিরোধ, সমস্ত প্রলোভন পায়ে দলিয়া উত্তীণ হইয়া গিয়াছিল, আজ ইহারই মধ্যে সে কথা কি সবাই ভুলিয়াছে ? তাহাকে সরেশের সঙ্গে পাঠাইয়া দিয়াও সবামী তাহার কোন সংবাদ লইলেন না। এই ঔদাসীন্যের নিগঢ়ি অপমান ও লাঞ্ছনা। তাহাকে সমস্ত রাত্ৰি যেন আগন্ন দিয়া পোড়াইতে লাগিল । সকালে যখন ঘািম ভাঙ্গিল, তখন বেলা হইয়াছে । তরণ সম্ষালোক খোলা জানালার ভিতর দিয়া ঘরের মেঝের উপর ছড়াইয়া পড়িয়াছে । সে ধীরে ধীরে শয্যায় উঠিয়া বসিয়া শিয়রের জানালাটা খালিয়া দিয়া বাহিরের পথের দিকে চাহিয়া চুপ করিয়া বসিয়া রহিল । কলিকাতার রাজপথে জনপ্রবাহের বিরাম নাই । কেহ কাজে চলিয়াছে, কেহ। ঘরে ফিরিতেছে, কেহ বা প্ৰভাতের আলোক ও হাওয়ার মধ্যে শািন্ধ শািন্ধ ঘরিয়া বেড়াইতেছে-চাহিয়া চাহিয়া হঠাৎ এক সময়ে তাহার মনে হইল, এ সময়ে কেহই ত