পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ატO গহীদাহ বাহিরে অ্যাসিয়া উভয়ের নিম্পনলিখিত মত কথাবাত হইল । সমরেশ কহিল, আমি ভেবেছিলাম, তুমি সোজা কলকাতাতেই ফিরে যেতে চাইবে, হঠাৎ এই ডিহিরীতে নেমে পড়লে কেন ? এখানে কি পরিচিত কেউ আছেন ? অচলা অন্যদিকে চাহিয়াছিল, সেইদিকে চাহিয়াই জবাব দিল, কলকাতায় আমি <काझ दाgछ पाGदा ? কিন্তু এখানে ? अ5व्ना पू० कfझन्ना अश्व्नि । সমরেশ নিজেও কিছুক্ষণ মৌন থাকিয়া বলিল, আমার কোন কথা হয়ত আর তুমি বিশ বাস করতে পারবে না, আর সেজন্য আমার নালিশও কিছ নেই, আমি একেবল তোমার কাছে শেষ সময়ে কিছৰ ভিক্ষা চাই । অচলা তেমনি নীরবে স্থির হইয়া দাঁড়াইয়া রহিল । সরেশ কহিল আমার কথা কাউকে বোঝাবারও নয়, আমি বোঝাতেও চাইনে । আমার জিনিস আমার সঙ্গেই যাক । যেখানে গেলে এখানের আগমন আর পোড়াতে পারবে না, আমি সেই দেশের জন্যই আজ পথ ধরলাম, কিন্তু আমার শেষ সম্পবিলটুকু আমাকে দাও, আমি হাতজোড় করে তোমার কাছে এই প্ৰাথনা জানাচ্ছি । তথাপি অচলার মািখ দিয়া একটা কথাও বাহির হইল না । সমরেশ কহিতে লাগিল, আমি নিজে তোমাকে অনেক কটু কথা বলেচি, অনেক দঃখ দিয়েচি ; কিন্তু পরে যে ভাল থাকার দশোভ ওপরে বসে তোমার মাথায় কলঙ্কের কালি ছিটিয়ে কালো করে তুলবে, সে অামি মরেও সইতে পারবো না । আমার জন্যে তোমাকে আর দঃখ না পেতে হয়, বিদায় হবার আগে আমাকে এইটুকু সংযোগ ভিক্ষে দিয়ে যাও অচলা ৷ তাহার কণ্ঠস্বরে কি যে ছিল, তাহা অন্তর্যামাই জানেন, অকস্মাৎ তপ্ত অশ্রাতে অচলার ঘাই চোখ ভাসিয়া গেল । কিন্তু তবও সে নিজের কন্ঠ প্ৰাণপণে অবিকৃত রাখিয়া মাদশবরে শািন্ধ জিজ্ঞাসা করিল, আমাকে কি করতে হবে ? সমরেশ পকেট হইতে টাইম-টেবিলখানা বাহির করিয়া গাড়ির সময়টা দেখিয়া লইয়া কহিল, তোমাকে কিছই করতে হবে না । কিন্তু সন্ধ্যার আগে যখন কোনদিকে যাবারই উপায় নেই, তখন এইটুকু কাল আর আমাকে অবিশদ্বাস করে না, এই শািন্ধ, আমি চাই । আমা হােত তোমার আর কোন অকল্যাণ হবে না, এ কথা তোমার নাম করেই আজ আমি শপথ করাচি । প্রত্যুত্তরে সে কোন কথাই কহিল না, কিন্তু সে যে সম্মত হইয়াছে তাহা বৰঝা গোল । লোকের দাম্পিট এবং কৌতুহল আকষণ করিবার আশঙ্কায় স্টেশনে ফিরিয়া তাহারা ক্ষদি বসিবার ঘরে গিন্না অপেক্ষা করিতে দ’জনের কাহারও প্রবত্তি হইল না। সন্ধান লইয়া জানা গেল, বড় রাস্তার উপরে সমট শের শাহের নামে প্রচলিত সরাইয়ের অস্তিত্ব আজিও একেবারে বিলপ্ত হয় নাই ৷ শহরের একপ্রান্তে তাহারই