পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একত্রিংশ পরিচ্ছেদ শীতের সন্য অপরাহ বেলায় ঢলিয়া পড়িবার উপক্ৰম করিতেছিল, এবং তাহারই ঈষতগুপ্ত কিরণে শোন নদের পাশবাবতী সদর বিস্তীণ বাল-মর ধন-ধ করিতেছিল। এমনি সময়ে একটা বাঙলোবাটীর বারান্দায় রেলিং ধরিয়া অচলা সেইদিকে চাহিয়া চুপ করিয়া দাঁড়াইয়াছিল। তাহার নিজের জীবনের সঙ্গে ওই দগধ-মরখণ্ডের কোন ঘনিষ্ঠ সম্প্ৰবন্ধ ছিল। কিনা, সে অন্য কথা, কিন্তু ঐ দটি অপলক চক্ষর প্রতি পলকমাত্র দন্টিপাত করিলেই বৰঝা যাইতে পারিত যে, তেমন করিয়া চাহিয়া থাকিলে দেখা কিছই যায় না, কেবল সমস্ত সংসার একটা বিচিত্র ও বিরাট ছায়াবাজীর মত প্রতীয়মান হয় । पिक है অচলা চমকিয়া ফিরিয়া চাহিল । যে মেয়েটি একদিন ‘রাক্ষসী’ বলিয়া নিজের পরিচয় দিয়া আরা সেন্টশনে নামিয়া গিয়াছিল, এ সেই । কাছে আসিয়া অচলার উদভ্ৰান্ত ও একান্ত শ্ৰীহীন মাখের প্রতি মহন্তকাল দণিটি রাখিয়া অভিমানের সরে কহিল, আচ্ছা দিদি, সবাই দেখাচে সরেশ বােব ভাল হয়ে গেছেন ; ডাক্তার বলচেন, আর একবিন্দী ভয় নেই, তব যে দিবারাত্রি তোমরা ভাবনা ঘোচে না, মাখে হাসি ফুটে না, এটা কি তোমার বাড়াবাড়ি নয় ? আমাদের কতারা আছেন, তাঁদের অসখি-বিসখেও আমরা ভেবে সারা হই, কিন্তু মাইরি বলচি ভাই, তোমার সঙ্গে তার তুলনাই হয় না । অচলা মািখ ফিরাইয়া লইয়া শােধ একটা নিঃশবাস ফেলিল, কোন উত্তর ाल्न मा । মেয়েটি রাগ করিয়া বলিল, ইস্য। ফোঁস করে যে কেবল দীঘনিঃশবাস ফেললে বড়। বলিয়া কয়েক মাহত অপেক্ষা করিয়া যখন অচলার নিকট হইতে কোন প্রকার জবাব পাইল না, তখন তাহার একখানি হাত নিজের মােঠার মধ্যে টানিয়া লইয়া । অত্যন্ত করণকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, আচ্ছা সরমাদিদি, সত্যি কথা বলো থাই, আমাদের বাড়িতে তোমার একদন্ডও মন টিকচে না, না ? বোধহয় খাব অসবিধ্যে थान कष् श्छ, नीड ना ? অচলা নদীর দিকে যেমন চাহিয়াছিল, তেমনি চাহিয়া রহিল ; কিন্তু এবার উত্তর দিল কহিল, তোমার শবেশীর আমার যে উপকার করেছেন, সে কি এজন্মে কখনো ভুলতে পারবো ভাই । মেয়েটি হাসিল ; কহিল, ভোলবার জন্যই যেন তোমাকে আমি সাধাসাধি ক’রে বেড়াচ্চি। এবং পরীক্ষণেই কৃত্রিম অনাযোগের কন্ঠে বলিল, আর সেজন্যই বঝি তখন বাবার অন্ত ডাকাডাকিতে সাড়া দিলে না । তুমি ভাবলে, বড়ো যখন 乾邻河一 অচলা একান্ত বিস্ময়ে মািখ ফিরাইয়া বলিয়া উঠিল, না, এমন কখখনো হতে