পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sa গহীদাহ পাশেবর কোন একটা ঘরের ঘড়িতে দইটা বাজিল । গায়ের গরম কাপড়খানা ফেলিয়া দিয়া উঠিয়া বসিতেই অন্যভােব করিল, এই শীতের রাত্রেও তাহার কপালেমখে বিশদ বিশদ ঘাম দিয়াছে । তখন শয্যা ছাড়িয়া মাথার দিকের জানালাটা খালিয়া দিতেই দেখিতে পাইল, কৃষ্ণপক্ষের অস্পষ্টমীর খাগড়-চন্দ্র ঠিক সম্পমখেই দেখা দিয়াছে, এবং তাহারই স্নিগধ মদ কিরণে শোনের নীল জল বহদার পর্যন্ত উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে । গভীর রাত্রির ঠান্ডা বাতাস তাহার তপ্ত ললাটের উপর স্নেহের হােত বলাইয়া দিল এবং সেইখানে সেই জানালার উপরে সে তাহার অদলেটর শেষ সমস্যা লইয়া বসিয়া পড়িল । এই কথাটা অচলা নিশাচর বকিয়াছিল যে, তাহার এই অভিশপ্ত, হতভাগ্য জীবনের যাহা কিছল সত্য, সমস্তটাই লোকের কাছে শািন্ধ কেবল একটা অদ্ভুত উপন্যাসের মত শনাইবে এবং যেদিন হইতে এই কাহিনীর প্রথম সন্ত্রপাত হইয়াছিল, সেইদিন হইতে যত মিথ্যা এ জীবনে সত্যের মাখোশ পরিয়া দেখা দিয়া গিয়াছে, তাহাদের একটি একটি করিয়া মনে করিয়া ক্ৰোধে, ক্ষোভে, অভিমানে তাহার চোখ দিয়া জল পড়িতে লাগিল এবং যে ভাগ্যবিধাতা তাহার যৌবনের প্রথম আনন্দটিকে মিথ্যা দিয়া এমন বিকৃত, এমন উপহাসের বস্তু করিয়া জগতের সম্মখে উদ্ঘাটিত করিতে লেশমাত্র মমতা বোধ করিল না, সেই নিমািম নিৰ্ম্মসুরকে সে যদি শিশবকাল হইতে ভগবান বলিয়া ভাবিতে শিক্ষা পাইয়া থাকে ত সে শিক্ষা তাহার একেবারে ব্যথা, একেবারে নিরর্থক হইয়াছে । সে চোখ মাছিতে মাছিতে বার বার করিয়া বলিতে লাগিল হে ঈশবর ! তোমার এত বড় বিশব্যৱহ্মান্ডে এই দভাগিনীর জীবনটা ভিন্ন কৌতুক করিয়া আমোদ করিবার আর কি ছাই কিছই ছিল না । মনে মনে কহিল, কোথায় ছিলাম। আমি এবং কোথায় ছিল সরেশ ৷ ব্ৰাহ্মপরিবারের ছায়া মাড়াইতেও যাহার ঘণা ও বিদ্বেষের অবধি ছিল না, ভাগ্যের পরিহাসে আজ সেই লোকেরই কি আসক্তির আর আদি-অন্ত রহিল না । যাহাকে সে কোনদিন ভালবাসে নাই, সে-ই তাহার প্রাণাধিক, শািন্ধ এই মিথ্যাটাই কি সবাই YuD DBDDB SS BDDB DBDD DDBS D BBBKDB DBDDBLD DDBBB BDDuLLL EBD না ? আবার সেই মিথ্যাটা কি তাহার নিজের মখ দিয়াই প্রচার হওয়ার এত প্রয়োজন ছিল ? অদ্যুলেটর এত বড় বিড়ািবনা কাহার ভাগ্যে কবে ঘাঁটিয়াছে ? স্বামীকে সে অনেক দঃখেই পাইয়াছিল, কিন্তু সে সহিল না।--তাহার চরম দদশার বোঝা বহিয়া অকস্মাৎ একদিন সরেশ গিয়া অভিসম্পপাতের মত তাহদের দেশের বাটীতে উপস্থিত হইল । তাহার সখের নীড় দপথ হইয়া গেল এবং সঙ্গে সঙ্গে তাহার ভাগ্যটাও ষে পড়িয়া ভস্মসাৎ হুইয়া গিয়াছে, এ কথা বর্ণিঝতে আর যখন বাকী রহিল না, তখন আবার কেন তাহার পীড়িত স্বামীকে তাহারই ক্লোড়ের উপরে আনিয়া দেওয়া হইল । যাহাকে সে একেবারে হারাইতে বসিয়াছিল, সেবার ভিতর দিয়া আবার তাহাকে সম্প্রপােশ রাপে ফিরাইয়া দেওয়াই যদি বিধাতার সঙ্কল্প ছিল, তবে আজ কেন তাহার দািখ-দদশা, লাখনো-অপমানের আর কুলকিনারা নাই ?