পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“গহীদাহ సినీ কিছু একটা হবেন বোধ করি । কিন্তু সেজনো ত ভাবচিনে সরমা, আসন, খানদান, পশ্চিমের জল-হাওয়ায় গালাজ্বালা, বকজােলা, দদিন স্থগিত হয় তা খাব খােদশীই হবো ; কিন্তু চিন্তা এই যে, বাড়িটি ত আমার ছোট ; রাজারাজড়ার কথা ভেবে তৈরিও করিনি, ঘরদোরের বন্দোবস্তও তার উপযোগী নয়। সঙ্গে দাস-দাসীও মাসবে হয়ত প্রয়োজনের তিনগণ বেশী । আমি তাই মনে করচি, তোমার বাড়িটাকে যদি— অচলা ব্যগ্র হইয়া বলিল, কিন্তু তার ত আর সময় নেই জ্যাঠামশাই, তা ছাড়া একলা অতি দরে থাকা কি তাঁদের সবিধে হবে ? রামবােব কহিলেন, সময় আছে, যদি এখন থেকেই লােগা যায় । আর জায়গা প্ৰস্তত থাকলে কোথায় কার সবিধে হবে, সে মীমাংসা সহজেই হতে পারবে । সমরেশ বাবা ত শোনামাত্রেই টমটম ভাড়া করে চলে গেছেন।--তোমার গাড়িও তৈরী হয়ে এলো বলে ; তুমি নিজে যদি একটু শীঘ্ৰ প্ৰস্তুত হয়ে নিতে পারো মা, আমিও তা হলে সে ফুরসতে জাতোজোড়াটা বদলে একখানি উড়নি। কাঁধে ফেলে নিই । তোমার ঘর-সংসারের বিলি ব্যবস্থা ত সত্যি সত্যি আমরা পেরে উঠবে না । অচলা ক্ষণকাল মৌন থাকিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল ; কহিল, আচ্ছা, আমি কাপড়টা বদলে নিচ্ছি, বলিয়া ধীরে ধীরে চলিয়া গেল । রামবাবার প্রস্তাব অসঙ্গত নয়, অস্পশািটও নয়। আত্মীয় রাজকুমার ও রাজমাতার স্থান-সংকুলান করিতে এ আশ্রয় ত্যাগ করিয়া যে এবার তাহাকে স্থানান্তরে যাইতে হইবে, এ কথা অচলা সহজেই বঝিল, কিন্তু বঝা সহজ হইলেই কিছল তাহার ভার লঘ্য হইয়া ওঠে না । মনের মধ্যে সেটা যতদর গেল, ততদরে গরভার স্টিল রোলারের ন্যায় যেন পিষিয়া দিয়া গেল । এতদিনের মধ্যে একটা দিনের জন্যও কেহ তোমাকে বাটীর বাহির করিতে সম্পমত করিতে পারে নাই । মিনিট-পনেরো পরে আজ প্রথম যখন সে নিজের অভ্যন্ত সাজে৷ প্ৰস্তত হইয়া শােধ এইজন্যই নামিয়া আসিল, তখন চারিদিকের সমস্তই তাহার চক্ষে নতেন এবং আশ্চর্য বলিয়া ঠেকিল, এমন কি আপনাকে আপনিই যেন আরএকরকম বলিয়া বোধ হইতে লাগিল ৷ ফটকের বাহিরে দাঁড়াইয়া প্রকা"ড জড়ি, নব-পরিচ্ছদে সঙ্গিজত কোচম্যান মনিব জানিয়া উপর হইতে সেলাম করিল ; সহিস দ্বার খালিয়া সসম্পমানে সরিয়া দাঁড়াইল, এবং তাহাকেই অনসরণ করিয়া বদ্ধ রামবােব যখন সম্পমাখের আসন গ্ৰহণ করিয়া বসিলেন তখন সমস্তটাই অদ্ভুত স্বপ্নের মত মনে হইতে লাগিল। তাহার আচ্ছন্ন দন্টি গাড়ির যে অংশটার প্রতি দণ্টিপাত করিল। তাহাই বোধ হইল, এ কেবল বহমাল্য নয়, এ শব্ধ। ধন্যবানের অর্থের দশভ নয়, ইহার প্রতি বিন্দটি যেন কাহার সীমাহীন প্রেম দিয়ে গড়া । কঠিন পাথরের রাস্তার উপর চারজোড়া খবরের প্রতি ধৰনি তুলিয়া জড়ি ছটিল, কিন্তু অচলার কানের মধ্যে তােহা শািন্ধ অস্পষ্ট হইয়া প্রবেশ করিল। তাহার সমস্ত গঃ দাঃ-১৩