পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ আজ অচলার বিবাহ । বিবাহ-সভার পথে পালকের: জন্য সরেশকে দেখা গিয়াছিল । তাহার পরে সে যে কোথায় অন্তধান হইয়া গেল, সারা রাত্রির মধ্যে কেদারবাবার বাটীতে আর তাহার উদ্দেশ পাওয়া গেল না। বিবাহ হইয়া গেল । দই-একটা দিন অচলার মনের মধ্যে বিপ্লব বাহিতেছিল । সেই নিমন্ত্রণের রাত্রে সরেশের পিসীমার কথা সে কোনমতেই ভুলিতেন. পারিতেছিল ना ; आख उशाश्व्र निवख शछेव्ग । BDDBB BDD BuDB DBBLL BuDL DDDDDS0 S BDBDiSDDBD BBB বাহ্য-প্রকাশ তাহার মাখের উপর দেখা দিল না । তবও শািভদন্টির সময় এই মািখ দেখিন্নাই অচলার সমস্ত বক্ষ আনন্দে মাধযে পরিপােশ হইয়া গেল। অন্তরের মধ্যে সবামীর পদতলে মাথা পাতিয়া মনে মনে বলিল, প্ৰভু, আর আমি ভয় করিনে তোমার সঙ্গে যেখানে যে অবস্থায় থাকিনে কেন, সেই আমার সবগ ; আজ থেকে চিরদিন তোমার কুটীরই আমার রাজপ্রাসাদ । BBDBBD DD DB BDDBDDD BBB BDDBBD BDL DDBD DDBS S আশীবাদ করি, স্বামীর সঙ্গে দঃখদারিদ্র বরণ করে জীবনের পথে, কতব্যের পথে নিবিদ্রে অগ্রসর হও । ভগবান তোমাদের মঙ্গল করবেন । বলিয়া তেমনি চোখ মহুিতো মাছিতে পাশের ঘরে প্রবেশ করিলেন । তাহার পরে, শ্রাবণের এক সাবলীপালোকিত দ্বিপ্রহরে মাথার উপর ক্ষান্ত-বষণা মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও নীচে সঙ্কীণী কদমান্ত পিচ্ছিল গ্রাম্য পথ দিয়া পালকি চড়িয়া অচলা একদিন স্বামীগহে আসিয়া উপস্থিত হইল। কিন্তু এই পথটুকুর মধ্যেই যেন তাহারানব-বিবাহের অবেক সৌন্দয তিরোহিত হইয়া গেল । পল্লীগ্রামের সহিত তাহার ছাপার অক্ষরের ভিতর দিয়াই পরিচয় ছিল । সে পরিচয়ে দািখ-দারিদ্র্যের সহস্ৰ ইঙ্গিতের মধ্যেও ছত্রে হয়ে কবিতা ছিল, কল্পনার সৌরভ ছিল । পালকি হইতে নামিয়া সে বাড়ির ভিতর আসিয়া একবার চারিদিকে চাহিয়া দেখিল-কোথাও কোন দিক হইতে কবিন্ধের এতটুকু তাহার হৃদয়ে আঘাত করিল না। তাহার কক্ষপনার পল্লীগ্রাম সাক্ষাৎ-দন্টিতে যে এমনি নিরানন্দ নিজন --মেন্টেবাড়ির ঘরগলা ষে এরশােপ স্যাঁতসেতে, অন্ধকার জানালা-দরজা যে এতই সঙ্কীণ ক্ষদ্র-উপরে বাঁশের আড়া ও মাচা এত কদাকার-ইহা সে সবপ্নেও ভাবিতে পারিত না । এই কদয গহে জীবন-যাপন করিতে হইবে-উপলব্ধি করিয়া তাহার বক যেন ভাঙ্গিয়া পড়িতে চাহিল। সবামীসখ, বিবাহের আনন্দ সমান্তই একম হতে মায়ামরীচিকার মত তাহার হৃদয় হইতে বিলীন হইয়া গেল ।