পাতা:গৃহদাহ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

काश्वाश् ピを বলনি ? আচ্ছা, কৈ, বৌভাতে আমাকে ত নেমতাষ করানি মহিম ? ওটা হয়নি বলেই করিনি । সমরেশ বিস্মিত হইয়া, বলিল, বৌভাত হয়নি ? ওঃ –তোমাদের যে আবার SumitaBot (আলাপ) ১৩:২৬, ২০ জুলাই ২০১৭ (ইউটিসি) কিন্তু এমন করে। ক'টা উপদ্রব এড়ানো যাবে মহিম ? আপদ-বিপদ আছে, ছেলেমেয়ের কাজকম আছে-সংসার করতে গেলে নেই কি ? আমি বলি ষদর হাতে চায়ের সরঞ্জাম এবং নিজে থালায় করিয়া মিলিটান লইয়া অচলা প্ৰবেশ করল । সমরেশের শেষ কথাটা তাহার কানে গিয়াছিল ; কিন্তু তাহার মাখের ভাবে সরেশ তাহা ধরিতে পারিল না। দই বন্ধীর জলযোগ এবং চাপান শেষ হইলে মহিমা কাঁধের উপর চাদরটা ফেলিয়া উঠিয়া দাঁড়াইল । গ্রামের জমিদার মসলমান, তাঁহার ছেলেটিকে মহিম ইংরাজি পড়াইত । জমিদারসাহেব নিজে লেখাপড়া না জানিলেও তাঁহার ঔদাযি ছিল, মহিমের সহিত সদভাবও যথেস্ট ছিল । এইজন্য " গ্রামের লোক সমাজের দোহাই দিয়া আজও তাহার উপর উপদ্রব করিতে সাহস করে নাই । অচলা কহিল, আজ পড়াতে না গেলেই কি হতো না ? মহিম কহিল, কেন ? অচলার মনের জোর ও অস্তরের নিমলিত যত বড়ই হোক, সরেশের সহিত তাহার সম্প্রবন্ধটা যেরপে দাঁড়াইয়া ছিল, তাহাতে তাহার আকস্মিক অভ্যাগমে কোন রমণীই সঙ্কোচ অনভব না করিয়া থাকিতে পারে না । সরেশকে সে ভাল করিয়াই । চিনিত, তাহার হৃদয় যত মহৎই হোক, সেই হৃদয়ের ঝোঁকের উপর তা হার কোন অস্থা ছিল না—এমন কি, ভয়ই করিত । এই সন্ধ্যায় তাহারই সহিত তাহাকে একাকী ফেলিয়া যাইবার প্রস্তাবে সে মনে মনে উৎকণ্ঠিত হইয়া উঠিল ; কিন্তু বাহিরে তাহার লেশমাত্র প্রকাশ না করিয়া হাসিয়া কহিল, বাঃ, সে কি হয় ? অতিথিকে একলা ফেলে-- মহিম কহিল, তাতে অতিথি সৎকারের কোন ত্রটি হবে না । তা ছাড়া তুমি ত রইলোঁ-- অচলা ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, কিন্তু আমিও থাকতে পারব না । সরেশের প্রতি চুহিয়া কহিল, আমাদের উড়ে বামনটি এমনি পাকা রধিনী যে, তার সঙ্গে না। থাকলে কিছই মাখে দেবার জো থাকবে না । আমি বলি, তুমি বরণ - মহিম ঘাড় নাড়িয়া বলিল, না, তা হয় না । ঘন্টা-দাই বৈ তা নয় । বলিয়া ঘরের কোণ হইতে সে লাঠিটা হাতে তুলিয়া লইল । একে ত মহিমের কাজের ধারা সহজে বিপন্যািপ্ত হয় না, তাহতে এই একটা সামান্য কারণ লইয়া বারংবার নিরণধ 'প্রকাশ করিতেও অচলার লক্ষজা করিতে লাগিল, পাছে ভয়টা তাহার সরেশের চোখে ধরা পড়িয়া লক্ষজাটা শতগণ হইয়া উঠে । মহিম ধীরে ধীরে বাহির হইয়া গেল । তাহাকে শনাইয়া সমরেশ অচলাকে হাসিয়া কহিল, কেন নিজের মািখ হোিট করা । চিরকাল জানি, ও সে পাত্রেই নয় যে, কারও কথা রাখবে। তুমি বরং যা হোক একখানা বই আমাকে দিয়ে নিজের কাজে