পাতা:গৃহদেবী - বিজয়রত্ন মজুমদার.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহদেবী ܨܠ তরুণ সত্যবতীর কাটিবেষ্টন করিয়া কচি ছেলের মত বলিল— ধোব—এখন । তুমি উপরে চল । উপরে আসিয়া সে এক-রকম জোর ‘করিযাই তোহাকে বসাইল ! মাটিতে শুইয়া পড়িয়া কোলের উপর মাথা দিয়া বলিল --মা, গুরুদেব যদি রাগ করেন ? না, না-রাগ করবেন কেন ? ই-ম, এসব তিনি পছন্দ করেন না। আমি ত দেখেছি ম', স্কুলে থাকতে-ফ্রি স্কুল করে দেশের দশের উপকার করছেন। বলে যে সব চিঠি আসত, তিনি হেসে আনাদের পড়তে দিতেন ; আর বলতেন। এরা আমাকে সং না। - সাজিয়ে ছাড়ছে না । তাই আমার ভগ্ন হ’চ্ছে মা- ‘ · সত্যবতী বলিলেন-জনিস-ই যদি, কারলি কেন বাপু ? তাহার একটু ভয় হইতেছিল। জীবন-যৌবনের ঠিক মধ্যপথে এক আঘাতে, তিনবৎসরের শিশু ছাড়া সব চূৰ্ণ হইয়া গিয়াছিল, জীবনের সেই দিনটিতে মান্দ্রাজীর আবাহনপত্র দেবতারু আশীৰ্ব্বাদের মতই স্বৰ্গীয় স্বামীর পুণ্যবলে তাহার মন দিয়া হৃদয়ে পৌছিয়াছিল। যে মেঘ অকালে একবার স্তব্ধ অন্ধকারে বিশ্বজগৎ ঘেরিয়া ফেলিছিল, কোন অদৃশ্য শক্তিবলে তাহার স্থানে পরিপূর্ণ নীলি ।‘পাৰ্শ্বব্যাপ্ত も気マーマーのモー কারণেই সে নীলাকাশ যে মেঘাচ্ছন্ন হইতে পারে-ভুবা যেমন স্বত: কষ্টকর—তরুণের গুরুদেবের বিরক্তি ভয় সত্যবতীকে তেমনি আঘাত দিতেছিল।