পাতা:গৃহদেবী - বিজয়রত্ন মজুমদার.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Þ\S) গৃহদেবী দুটি কঁাপিয়া-কঁপিয়া উঠিতেছে। এবং তাহার এই 5६aबना লক্ষ্য করিয়াই কালো আকাশ অগণিত চক্ষু মেলিয়া সত্যবতীর মতই করুণ দৃষ্টিক্ষেপ করিতেছে। । একবার মনে হইল, ছুটিয়া পালায়। যে দু’একটা দিন বাধ্য হইয়া এখানে রূহে, সত্যবতীর সামনের মাটিতে আর পা দিবে না, কিন্তু পলাইবার ইচ্ছা সত্ত্বেও শক্তি যে এক বিন্দুও ছিল না, অনুভব করিয়াই সে পাশের রেলিঙ ধরিয়া বসিয়া পড়িল । সত্যবতী বলিয়া উঠিলেন-রেলিঙ ভাঙ্গা আছে। অম্বা নড়িল না, শুনিতে পাইয়াছে এমন ভাবও দেখাইল না । সত্যবতী গৰ্জিয়া উঠিলেন-শেষাশেনি কি হাতে দড়ী দিতে 5७ अशां । অম্বা রেলিঙটা ছাড়িয়া, সরিয়া বসিল । আলোক ত্যাগ করিয়া সে-যে অসীম অন্ধকারের মধ্যে আত্মবিসর্জন করিতে আসিয়াছিল। --সেই অন্ধকার কাটিয়া কাটিয়া আগুন যে এমন দাউ-দাউ করিয়া জলিতেছে, এ ত তাহার জানা ছিল না। সত্যবতী যে সেখানেও দীপ্ত নেত্ৰ মেলিয়া তাহাকেই ভস্ম করিতে বসিয়াছিলেন, জানিলে প্ৰদীপের মৃদু আলোক ত্যাগ করিয়া, সে কি আসিত-কখনই আসিত না । মৃত্যু আসন্ন জানিয়াও মুমূর্ষু যেমন হরিনামের বলেই পুনর্জীবনের আশা ত্যাগ করিতে পারে না, অম্বারও মনে হইতেছিল, তরুণের মুখে সে যাহা শুনিয়াছে -এখন চতুর্দিকের এই অগ্নিদাহে সে মরিতেও পরিবে । জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ড যে তাহাকে