পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՇՏ Գ গৃহশ্ৰী একেবারে দিয়া সেগুলি নষ্ট করিলে কেন ?” ঠাকুর হয় ত উত্তরে বলিল, ‘অল্প ভাত দিলে খোকাবাবু রাগ করিয়া খাইতে বসেন না।” বলা বাহুল্য, এই সকল ওজুহাৎ এবং এইভাবে জিনিস নষ্ট করা লক্ষ্মীঠাকুরাণীকে । গলাধাক্কা মারিয়া তাড়াইয়া দিতে যাওয়া মাত্র। গৃহস্থের পক্ষে এইভাবে জিনিস নষ্ট হওয়ার মত সর্বনেশে ব্যাপার আর নাই। গৃহিণী ঠিক ওজনমত সকলের পাতে জিনিস পড়িতেছে কি না,-বারে বারে দেওয়ার পরিশ্রম এড়াইবার জন্য একেবারে অতিরিক্ত জিনিসের পরিবেশন হইতেছে কি না,-সে দিকে সর্বদা লক্ষ্য রাখিবেন । দ্রব্যসামগ্ৰী নষ্ট না হয়,- হাঁহাই গৃহিণীপনার প্রথম ও প্ৰধান সূত্ৰ । গৃহস্থের গৃহে দরিদ্রের জন্য একটা দরজা খোলা রাখা উচিত ; আতিরিক্ত ন্যায়-শাস্ত্রের চৰ্চা করিয়া সে দরজাটা একেবারে বন্ধ করা উচিত নাচে । একটা লোক হরিনাম গাইয়া গেল,--“তোর বাড়া কোথায়শরীর বেশ পুষ্ট, বাপু, খাটিয়া খাও না কেন ?” ইত্যাদি প্রশ্ন দ্বারা তাহাকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তাড়াইয়া দেওয়া উচিত নহে । এ দেশের লোকেরা হরিনামকীৰ্ত্তনটা অনর্থক কুড়ে লোকের কাজ মনে করেন না । প্ৰাতে উঠিয়া ভয়রো রাগে আগেকার দিনে বৈষ্ণবেরা যে টহল দিয়া যাইত, তাহাতে ঘুম ভাঙ্গিবার পরেই লোকের মনে কি সরস ধৰ্ম্মভাবের উদয় হইত । রাজার বন্দী বাখিয়া যে আনন্দ পাইতেন, ধনী ব্যক্তিরা প্ৰাতঃকালে ও প্রদোষে নহবতের ব্যবস্থা করিয়া যে আনন্দলাভ করেন, সমাজের দরিদ্র ব্যক্তিরাও এক-মুঠো চা’ল দিয়া বৈষ্ণব। ভিখারীর গানে তদপেক্ষী উচ্চাঙ্গের সুখ ও শিক্ষা পাইতে পারেন। সংসারে ত লোকেরা দিনরাত লাটামের মত ঘুরিতেছে, —সারাদিন যন্ত্রের মত খাটাই আমাদের কৰ্ত্তব্য, কিন্তু শুধু এই কি আমা দের কৰ্ত্তব্য ? আর কি কিছুই নাই ? আমরা যাহা ভুলিয়া গিয়াছি, যিনি 阿小动