পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਗੇ। So S ডাকিত না ; নামের সঙ্গে ‘দাদা” “কাকা’ প্ৰভৃতি আত্মীয়তা-সূচক উপাধি জুড়িয়া দিত। মোট কথা, তখন তাহারা গৃহস্থের বাড়ীর অঙ্গীয় ছিল, তাহারা কখনও মনে করিত না যে, তাহার পর । কৰ্ত্তা বা কত্রী বাড়ীতে না থাকিলে তাহারা বাড়ীর কার্য্য-কলাপ-সম্বন্ধে এমনই দায়িত্বপূর্ণ এক একটা কাজ করিয়া বসিত যে, এখনকার নিকট-আত্মীয়েরাও জিজ্ঞাসা না করিয়া সেইরূপ করিতে সাহসী হন না । তাহার জন্য যদি মাঝে মাঝে তাহাদের গালিও শুনিতে হইত, তবে “বৃক্ষ যথা বৃষ্টিধারা মাথা পাতি লয়।" -এই ভাবে তাহারা সকল অত্যাচার অবিচার সহিয়া লইত । কিন্তু এখনকার দাস-দাসীরা আমাদের বেতন খাইতেছে ও আমরা যাহা বলিব, তাহাই করিতে আইনমত তাহারা বাধ্য, এ ভাবটি কিছুতেই আমরা ভুলিতে পারি না। আমাদের সঙ্গে তাহদের আর কোন সম্বন্ধ নাই । আমরা মনিব, তাহারা ভূত্য । সহরের অনেক বড লোকের বাড়ীতে তাহদের নামের সঙ্গে আত্মীযতাসূচক শব্দ যোগ দেওযা দূরের কথা, তাহদের নাম ধরিযা ডাকিলে যে ঘনিষ্ঠতা হইবার সম্ভাবনা, সেটুকু সহ না করিয়া, তাহারা চাকরকে ডাকেন, “বেয়ারা ।” এই ব্যাপারে যে তাচ্ছিল্য ও ঘুণা আছে, তাহা সেই সকল বাড়ীর চাকরেরা কেবল অপৰ্য্যাপ্ত চুরির লোভেই সহ্য করিয়া থাকে। বাড়ীর স্ত্রীলোকেরা দাস-দাসীকে মেহের চক্ষে দেখিবেন, তাহা হইলে তাহাদের দেহে দশগুণ বল বৃদ্ধি পাইবে ও তাহার কাজ করিতে আনন্দ বোধ করিবে । তঁহারা যখন ‘বেয়ার” ডাক আবৃত্তি করেন,-তখন তাহারা সর্বপ্রকারে সংসারের বাহিরে আছে, ইহা মনে করিয়া কেবল শীকার্যাম্বেষী বিড়ালের মত ছো। মারিয়া থাকে-কি ভাবে মালিকের সমস্ত দ্রব্য হইতেই কিছু ভাগ চুরি করিবে। এদিকে অন্যান্য কারণেও দাস-দাসীদের সেরূপ আনুগত্য করার পক্ষে e२न कांद्र नॉन-नानी