গহশ্রী Σ δο বাখিবেন । যে চাকরকে জবাব দেওয়া হইয়াছে, তাহার সঙ্গে নূতন চাকরি যাহাতে জটলা করিতে না পায়, সে দিকে লক্ষ্য ব্যাখা দরকার, কারণ, তাহা না চইলে, পুরাতনটি নূতনটিকেও নিশ্চয় ভাঙ্গাইবে । চাকরের মাহিয়ানা হাতে রাপিয়া অনেকে তাহার দ্বারা বেশী কাজ আদায় করিয়া লাইবার চেষ্টা করেন । এটা নিতান্ত অস্বাভাবিক রীতি নহে । যেখানে চাকর স্বভাবতঃই কাজ-কৰ্ম্মে শিথিল, এবং দুর্ব্যবহার করিয়া থাকে, সেখানে মাহিয়ানা আটুকাইলে তাহার চরিত্র অনেক পরিমাণে শোধরাইতে দেখিয়াছি । কারণ, টাকা যাহার কাছে পাওনা থাকে, তাহার নিকট লোকেরা কতকটা অপরাধীর মত থাকে, এবং তাহার মন যোগাইয়া উচ্চ আদাযের চেষ্টা দেখে । কিন্তু সাংসারিক ব্যবহারে আমি কিছুতেই নিষ্ঠুরতার পক্ষপাতী হইতে পারি না। নিষ্ঠুরতার দ্বারা কাজ আদায় করিতে পারা যাইতে পারে, কিন্তু মানুষের হৃদয় পাওয়া যায় না । যাহা অধৰ্ম্ম ও অন্যায় —তাহার প্রশ্রয় দিলে নিজের চরিত্র বিরুত হইয়া উঠে । ইহা অপেক্ষা ভাল লোকের বেশী ক্ষতি কি হইতে পারে ? চরিত্রের সাধুত রক্ষা করিতে পারিলেই আমরা ভগবানের সম্মুখে দাড়াইবার যোগ্য হইয়া থাকি । কোন কোন বাড়ীর চাকর এতদূৰ অভদ্র যে, বাহিরের কোন ভদ্রলোক আসিলে তাহার ব্যবহারে তিনি একান্ত ক্ষুব্ধ ও অপমানিত হন, সে যেন নবাব খাঞ্জা খা-শত প্রশ্ন করিলেও উত্তর দিতেছে না, কেবল হুকাই টানিতেছে, কিংবা এরূপ উত্তর দিতেছে যে, আগন্তুক ভদ্রলোক আপাদমস্তকে জ্বালা বোধ করিতেছেন। গৃহস্থ-বাড়ীর চাকর এরূপ দুবিনীত হইলে, লোক কিন্তু তাহার দোষ দেশ না । সাধারণের বিশ্বাস, মানিবের ছাপ চাকরের গায়ে পড়ে । গৃহস্থের মনের ভিতরে যদি অভদ্রতা থাকে, তবে চাকর বেতন অটুকাই যা ट्र|२|| দুৰ্ব্বিনীত ভূত্য
