পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS a গৃহশ্ৰী সে পৃথক হইয়া তাহার ভ্রাতাদের বা পিতামাতার খোজ না লয়, তবে সে দুঃখী পিতামাতা বলিবেন কাহাকে ?—তাহারা অবশ্য প্রতিদানে কিছু চান না,-কিন্তু পুত্রের নিৰ্ম্মমতায় তঁহাদের প্রাণে যে শেল বিদ্ধ হয, তাহা অনেক সময় তাহদের মৃত্যুবাণ হইয়া পড়ে। ছোট ছোট শিশুগুলিকে নিঃসহায় দেখিয়া তাহদের কান্না পায় । নিজেদের দুঃসহ। জীবনের বোঝা নামাইতে পারিলেই ত্ৰাণ পান, অথচ শিশুদিগের মুখের দিকে চাহিয়া বাচিয়া থাকিতে চাহেন ; তঁহাদের দৈনন্দিন সেই রাশি রাশি দুঃখ যে সন্তানের প্রাণে না লাগে, সে কি নিৰ্ম্মম ! যে সাময়িক সুখের প্ৰত্যাশায় স্বাভাবিক এই মহাদেহের বন্ধনকে ছিড়িয়া ফেলিয়াছে, সে আত্মতৃপ্তির স্বগের দ্বার নিজ হাতে রুদ্ধ করিয়াছে । বধু যদি সুবুদ্ধি হন, তবে কখনই তাহার স্বামীর সঙ্গে পিতামাতার ঐশ্বরিক স্নেহবন্ধন কাটিয়া ফেলিবার জন্য স্বার্থের ছুরিখানি তঁহার হাতে তুলিয়া দিবেন না । যাহা স্বার্থের বিপৰ্য্যায়, তাহা কখনও সুখ বা উন্নতির কারণ হইতে পারে না । দোষে-গুণে সংসার । কাহারও কোন একটা দোষ কল্পনায় নিতান্ত বড় করিয়া তোলার দরকার নাই । ডাকের বচনে আছে,-পিতার সঙ্গে যখন পুত্রের ঝগড়া হইয়াছে, তাহার বিচার করিতে যে রাজা যান, তিনি অবোধ। কারণ, বাহিরের লোক এ ঝগড়ার মূলসূত্র ছিড়িয়া ফেলিতে পরিবেন না। একবিন্দু চক্ষের জলে উহা কোথায় উড়াইয়া লইয়া যাইবে, তাহার ঠিকানা নাই । সংসারে যেখানে নিজেকে ভাল ও উন্নত করিতে হয়,-সেইখানেই আত্মসংযম ও তপস্যার দরকার। দাম্পত্যপ্ৰেম প্রথমাবস্থায় বড় মধুর, হা ভোগের সামগ্রীর মত সহজেই মনকে প্ৰলুব্ধ করে । কিন্তু যে পথে ন্নতি, তাহ সিড়ি ভাঙ্গিয়া উঠিতে হয়, তাহা গৃহের - পুস্পশয্যা ও ভোগবিলাসের পাশ্বে পড়িয়া নাই। সংসারীর তপস্যা করিতে হইলে, حيحة V5