পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহশ্ৰী S. মোটেই লক্ষ্য করিতেছেন না । এরূপভাবে অনেক সময় অহেতুক কলহের সৃষ্টি হইয়া থাকে। যিনি রান্না করিবেন, তাহার এটাও দেখা উচিত, যে সকল বস্ত্ৰ শুকাইতে দেওয়া হইয়াছিল, তাহা বৃষ্টিতে ভিজিতেছে কি না ; ছোট ছোট শিশু সকলের কে কোথায় কি অবস্থায় আছে ; যাহারা যে সময় খাইয়া থাকেন, তাহারা খাইয়াছেন কি না ; রুগ্ন ব্যক্তির খাদ্য যথাসময়ে প্রদত্ত হইয়াছে কি না ; বাড়ীর সকলের অভাবাদির কি কি পূরণ হয় নাই এবং শিশুরা রাস্তায় ঘুরিয়া ফেরীওয়ালার নিকট হইতে ভাজ-কড়াই কিনিয়া খাইতেছে কি না। এই কাৰ্য্য দুরূহ বলিয়া মনে হইতে পারে, কিন্তু লক্ষ্মীকে ঘরে আনিতে হইলে বিনা তপস্যায় চলিবে কেন ? চারিদিকে মনোযোগ না। রাখিলে গৃহস্থালী সুসম্পন্ন হইতে পারে না । যিনি কত্রী হইবেন, তঁহাকে সেই সকল শিক্ষার মধ্য দিয়া অগ্রসব হইতে হইবে। যাহার অনেক পরিাচারক ও পরিচারিকা আছে, তাহারও মনটি এই ভাবে দশদিকে রাখিতে হইবে । তিনি প্ৰত্যেক বিষয়ে লক্ষ্য রাখিয়া চাকরদিগকে যথাযোগ্য কৰ্ত্তব্যে নিযুক্ত করিবেন। মূল কথা, গৃহস্থালীর সমস্ত চিন্তাটি যে রমণীর নাথাব্য থাকিবে, তিনিই গৃহিণীপদের যোগ্য । এ কথাটি মনে রাখিতে হইবে, গৃহিণী শুধু রাধুনী নহেন, তিনি শুধু পরিচারিক নহেন, তিনি গৃহাশ্রম চালাইবার শুধু একটা যন্ত্র নহেন । গৃহের যাহা কিছু, তিনি তাহার সকলোব নিয়ন্ত্রী । এই জন্যই শাস্ত্রকারের বলিয়াছেন, “গৃহিণী গৃহমুচ্যতে ।” কোন কোন গৃহিণীর নিজের রান্নাবান্না করিবার প্রয়োজন হয় না . কিন্তু তথাপি রান্নাঘরের তিনিই কত্রী, রাধুনী নহে। তঁহার ইঙ্গিতে রাধুনী পরিচালিত হইবে, কারণ, কোন জিনিষটা বাড়াব কে খাইতে ভালবাসেন, সেই গৃহে কাহার শরীরের পক্ষে কোন খাদ্য উপযোগী, এ সমস্ত গৃহিণীই জানেন ; রাধুনী উনানে রান্নাঘরে