পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহশ্ৰী Σ, η ο মহাশয়কে সংবাদ দিবে। ইহা বড়ই সংঘাতিক রোগ। চিকিৎসা করিতে বিলম্ব করিবে না। জল খাইতে দিবে। ডাবের জল, মৌরীর জল, তৃষ্ণ পাইলেই দিবে। ছোয়াচে রোগ-এক জনের কোন রোগ হইলে যদি স্পর্শ করিলে অপরের সেই রোগ হয়, তাহাকে ছোয়াচে রোগ বলে ; আমাদের দেশে ছোয়াচে রোগের মধ্যে হাম, বসন্ত, হুপিংকাসি, ডিপ থিরিয়া প্ৰধান । হাম বা বসন্ত হইলে যে মা শীতলার অনুগ্ৰহ হইয়াছে বলিয়া একটি পৃথক ঘরে রোগীকে রাখা হয়, তাহা বড়ই ভাল প্ৰথা জানিবে। সেই ঘরে শিশুর মাতা ব্যতীত আর কাহারও যাওয়া উচিত নয় । যিনি রোগার সেবা করিবেন, তিনিই কেবল সেই ঘরে যাইবেন । তিনি সংসারেব। আর কোন কাজ করিবেন না ও কিছু ছুইবেন না। অন্য বালক-বালিকাদিগকে সাবধানে রক্ষা করিবেন। বাটীতে বা পাড়াতে বসন্ত হইলে সকলের টীকা দিবে। ছোয়াচে রোগ সারিয়া গেলেও ১৫ দিন রোগীকে পৃথক করিয়া রাখিবে। হাম বা বসন্তের যত দিন সমস্ত মামুড়ী উঠিয়া না যায় এবং শরীর সুস্থ না হয়, তত দিন সেই রোগীকে কাহারও সহিত মিশিতে দিবে না। “হুপিং কাসি” হইলে কমিয়া যাওয়ার পর দুই মাস সাবধানে রাখিবো। ডিপ থিরিয়া সারিয়া গেলেও দুই সপ্তাহ শিশুকে সাবধানে রাখিবো। তাহার মাতা যদি তাহাকে মাই দেন, সেই মাই অন্য কোন ছেলেকে চুষিতে দিবেন না। বালক-বালিকাদিগকে শিখাইবেন যেন কেত কাহারও পেন্সিল লইয়া মুখে না দেয়। টাইফইড জ্বর সারিয়া যাইবার এক মাস পর। পৰ্য্যন্ত বিশেয় সাবধানে রাখিবে।