পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2 গৃহশ্ৰী ইদানীং আমরা দেখিতে পাই, যিনি বিবাহের জন্য কোন মেয়ে দেখিতে চচ্ছা করেন, তিনি আসিয়াই হয় ত জিজ্ঞাসা করেন, “তুমি কি কি বই পড় ?” মেয়ে হয় ত “নীতিবোধ,” “সরল সাধি ত্য” এবং এরূপ আরও দু পাচখানা বঙ্গির নাম করিল ; খানিকটা পড়িতে দেওয়া হইল, মেয়ে হয় তা তাঙ্গা পড়িয়া গেল , হাতের লেখা দেখাইল ও ইংরাজী ফাষ্ট বুক হইতে ভেড়ার গল্পের ৪৫ ছাত্ৰ পড়িয়া ফেলিল ; কোন কোন অভিভাবককে দেখিয়াছি মেযেকে ভগ্নাংশ ও ত্রৈরাশিকের পরীক্ষা লইতে যাইয়া তাহাকে কাহিল করিয়া ফেলিয়াছেন। ইহা ছাড়া উলের টুপি তৈয়ারী, লেস-বুনান, উলের ছবি তোলা প্রভৃতির নমুনা লইয়া ত ঘরে ঘরে মেয়েরা প্ৰস্তুত আছেনই । এগুলি ভাল কি মন্দ, তাহা বিবেচনা করিবার পূর্বে আমাদের কি দরকার, তাহাই আগে ঠিক করা প্ৰয়োজন । মেয়ের ধরিয়া ধরিয়া লিখিয়া সুন্দর হাতের লেখা দেখাইয়া ঘরের পিতা ও অভিভাবককে অনেক সময়ে তুষ্ট করেন, কিন্তু অনেক সময়ে তাঙ্গাদের এই প্রয়োজনের জন্য এক সেট পোষাকী। হাতের লেখা থাকে, তাহা দেখাইয় তাহারা প্ৰশংসা লাভ করেন । বিবাহের পর কিন্তু অনেক সময় দেখা গিয়াছে, সামান্য চিঠিখানি লিখিতে তাহারা অনেক ভুল করেন, এবং অক্ষরগুলি আঁচড়-কাটার মত বিশ্ৰী হয়। র্যাহারা ত্রৈরাশিক পৰ্য্যন্ত শিখাইয়াছেন, কাৰ্য্যকালে দেখা যায়, তাহারা সামান্য বাজার-খরচের হিসাব রাখিতে অপটু এবং ধোপার হিসাব রাখিতে যাইয়া মোট মিলাইতে পরিশ্রান্ত হইয়া পড়েন। এরূপ কেন হয় ? তাহার কারণ এই যে, অধিকাংশ স্থলে পিতা কন্যার শিক্ষার কোন যত্ন লয়েন না, কেবলমাত্র বরপক্ষীয়দিগকে কন্যার, কোনরূপ মুখোস পরার মত, একটা কৃত্রিম বিদ্যাবত্তার পরিচয় দেখাইয়া স্বীয় উদ্দেশ্য সিদ্ধ করিতে চেষ্টিত থাকেন। বরপক্ষের পরীক্ষা প্ৰণালী পোষাকী বিদ্যা