পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSO) গৃহশ্ৰী গাত্র বেশ করিয়া পরিষেক অর্থাৎ ছিটা দিয়া ধুইবে । তাহাতে শিশু স্মৃত্তি পাইবে। শিশু এইরূপে আপ্যায়িত হইলে, তাহাকে অনন্ত ও ব্রাহ্মীর রস, সুবৰ্ণভস্ম, মধু ও ঘূতের সহিত মিশ্ৰিত করিয়া, অনামিকা অঙ্গুলি দ্বারা লেহন করাইতে হইবে। অতঃপর যথাকলে শিশুকে বেশ করিয়া তৈল মাখাইয়া কোষ্ণ জলে মান করাইতে হইবে । এই জল প্ৰস্তুত করার প্রণালী । হয় বটাদি ক্ষীরবৃক্ষের বরল সিদ্ধ করিয়া অথবা রৌপ্যখণ্ড বা স্বর্ণখণ্ড উত্তপ্ত জলের মধ্যে ফেলিযা অথবা কপিখের পত্ৰ সিদ্ধ করিয়া প্ৰস্তুত করিতে হইবে । প্রসবের পরে সাধারণতঃ দুই তিন দিবস বাদে চতুর্থ দিনে বা কখনও তৃতীয় দিনে প্ৰস্থতির স্তনে স্তন্যের প্রবাৰ্ত্তন হয়। সন্তান ভূমিষ্ঠ হইলে প্রথম দিনে তিনবার মাত্র অনন্তার রস, মধু ও দ্রুত পান করিলেই যথেষ্ট হয়। দ্বিতীয় দিনে এবং আবশ্যক হইলে তৃতীয় দিনে লক্ষ্মণামূলসিদ্ধ ঘূত পান করাইতে পারিলে ভাল হয়। এই লক্ষ্মণামূল বাৰ্ত্তমানে অপ্ৰাপ্য না হইলেও দুর্লভ ও দুষ্পাপ্য, ইহার মূল্যও অত্যধিক । সাধারণপক্ষে একটু একটু মধু অবলেঙ্গন এবং জলের সহিত মিশাইয়া দুগ্ধ জাল দিয়া তাহ। সদ্যোজাত শিশুকে আবশ্যকমত দেওয়া হইয়া থাকে ( জলের সহিত মিশাইয়া দুগ্ধ জ্বাল দিবার উদ্দেশ্য যে, দুগ্ধ জালে গাঢ় হইলে গুরুপাক হয়, কিন্তু জল মিশাইয়া জ্বাল দিলে আর গাঢ় হইতে পারে না, কাজেই গুরুপাক হইবার আশঙ্কা থাকে না ) । প্ৰসুতির স্তনে স্তন্যেরা প্ৰবৰ্ত্তন হইলে তাহাই সন্তানের পক্ষে প্রশস্ত। কিন্তু ঐ স্তন্য কোন কারণে দুষিত হইলে, সুলক্ষণ বৎসল ধাত্রী ( স্তন পরীক্ষাপূর্বক ) নিয়োজিত করা অবশ্যক । ছোট ছোট স্তন্যপায়ী শিশুকে বিশেষ করি, যা ঔষধ সেবন করাইবার দরকার হয় না । স্তন্যপায়ী শিশুর কোনও অসুখ হইলে সাধারণতঃ তাহাকে S )