পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহশ্ৰী Σ δ8 কোনও ঔষধ না দিয়া তাহার মাতাকে বা ধাত্রীকে সেই সেই রোগের ঔষধ সেবন ও তজ্জন্য পালনীয় নিয়মের অধীন রাখিলেই শিশু রোগমুক্ত হয়। তাতাতে না উপকার হইলে মাতাকে বা ধাত্রীকে নিয়মাধীন রাখিয়া মাতার বা ধাত্রীর স্তনে সেই সেই রোগের ঔষধ মাখাইয়া দিতে হয়। শিশু স্তন্যপান করিবার সময় স্তনের সহিত উক্ত স্তনলিপ্ত ঔষধ গলাধঃকরণ করিবে । তাহাতেই ফল হইবে । ইহাতেও সুবিধামত ফল না হইলে তখন স্তন্য বা মধু দ্বারা তরল করিয়া লেহন বা পান করাইযা দিতে হয়। অধিক বয়স্ক লোকের যে যে পীড়াব্য যে যে ঔষধ ব্যবস্থেয়-শিশুদিগকেও তত্তৎ ঔষধ উপযুক্ত কম মাত্রায় দিতে পারা যায়। কেবলমাত্র শিশুদিগের জন্য বিশেষভাবে নিৰ্বাচিত ঔযধ আছে। ঔষধের কথা পরে বলা যাইবে । ঔষধের মাত্ৰ নিদিষ্ট করিয়া বলা যায় না । ঔষধ যে যে দ্রব্যে প্ৰস্তুত, তাহাদের বীৰ্য্য, রোগীর শারীরিক বল, বয়স ও রোগের অবস্থা বিবেচনা করিয়া মাত্ৰা স্থির করিতে হয। তবে মোটামুটি ভাবে বলিতে হইলে বলা যায় যে, একমাস বয়স পৰ্য্যন্ত শিশুকে এক রতি মাত্রায় ঔষধ মধু, দুগ্ধ বা ঘূতাদির সহিত মিশাইয়া অবলেহন করাইতে হয়। ইহার পরে এক বৎসর বয়স পৰ্য্যন্ত প্ৰতি মাসে এক এক রতি করিয়া বাড়ান যাইতে পারে। এক বৎসরের পরে যোড়শ-বর্ষ পৰ্য্যন্ত প্ৰতি বর্ষে এক মাষা করিয়া বাড়াইয়া বাড়াইয়া ষোড়শ বর্ষ পূর্ণ হইলে পূর্ণমাত্রায় ঔষধ প্ৰযুক্ত হইবে। এখানে ইহা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, এই মাত্রা কেবলমাত্র মৃদুবীৰ্য্য ঔষধের পক্ষেই খাটিবে। সকল স্থলেই বিজ্ঞ চিকিৎসকের উপদেশ অনুসারে মাত্রা স্থির করা কীৰ্ত্তব্য এবং একান্ত দায়ে না পড়িলে শিশুকে বিরেচন, বমন ও বন্তি প্ৰয়োগ করিতে নাই । জ্বরাদি রোগের সাধারণ কতকগুলি মুষ্টিযোগ মাত্র নিম্নে কথিত হইল:-