পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ) গৃহশ্ৰী অন্তর্নিহিত পবিত্ৰতা পাঠকের মনকে পবিত্ৰ করিয়া থাকে। তৎস্থলে কোন দুঃশীল ভ্ৰাতৃবধু অকারণে তাহার দেবর-স্ত্রীকে ভয়ানক যন্ত্রণা দিতেছে, তাহার ফলে সেই নিরীহ রমণী আফিম খাইতেছেন ; কিংবা সকল সম্পত্তি নিবিবাদে গ্রাসের জন্য কোন পিতৃব্য র্তাহার ভাইগে{াকে ধীরে ধীরে বিন্যপ্রয়োগ করিয়া হত্যা করিতেছেন, এ সকল বৃত্তান্ত শুনিলে বা পড়িলে সাময়িক উত্তেজনা বা কষ্ট হইতে পারে, কিন্তু এই নিষ্ঠুরতার বিবরণ পাঠ করিয়া কোন উপকার-লাভের সম্ভাবনা দেখা যায় না । অন্যান্য দেশের সাহিত্য এইরূপ ঘটনায় যে একটা নিষ্ঠুর আমোদ পাওয়া যায়, তাহাই লেখক ও পাঠক চূড়ান্ত মনে করিয়া থাকেন । কিন্তু আমাদের দেশে লোক কাব্যের এইরূপ উদ্দেশ্য স্বীকার করেন নাই। উদ্দেশ্যমুলক বলিযা যে এই সকল কাব্যে সাহিত্যিক রস-ধারার অভাব হইয়াছে, তাহা নহে ; পবিত্র জীবনের কাহিনীর সঙ্গে আত্মত্যাগ-জনিত নানা কষ্ট্রেব কথা জড়িত থাকাতে কাব্য-কথা যেরূপ মনোহারিণী হইয়াছে, সেইরূপ তাহা নৈতিক উন্নতির সহায় হইয়াছে। উপন্যাস পড়া একেবারে বন্ধ করিয়া দিতে আমি বলিতেছি না ; কাবণ এখন স্রোত সেই দিকে বহিতেছে-এই স্রোতের যেটুকু খারাপ অংশ, তাহা আমাদিগকে সামলাইতে হইবে। কতকগুলি উপন্যাস বেশ ভাল আছে, তাহা ছেলে-মেয়েদের অভিভাবক নির্বাচন করিয়া দিবেন। কিন্তু বাজে ডিকেকটিভ-কাহিনী ও গল্প, যাহা রাশি রাশি স্ত্রীলোকেরা পাঠ করেন, সেগুলি পাঠ করা বন্ধ করিয়া দেওয়া ভাল। বৃথা কৌতুহল নিবৃত্তির জন্য সেই সকল আসার গল্প পড়িয়া অনেক সময় তঁহাদের মন সংসার হইতে বিক্ষিপ্ত হইয়া পড়িতে পারে । আমার মনে আছে, শ্যাম-সন্ধ্যায় বা নিবিড় নৈশ অন্ধকারে একটি । ॐ°न्"म *ष्ट्र