পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গহশ্ৰী २२ অসম্ভব। আশা কখনই পোষণ করি না । যদি দু’চার ঘণ্টা ডাক্তারের আসিতে দেরী হয়, তখন রোগীর জন্য পূর্বেই যে সামান্য ব্যবস্থা করিতে হয়, তাহা মহিলাগিণের শিক্ষা করা উচিত । সামান্য কাসি, সাদিন্-জ্বর ও পেটের অসুখ প্রভৃতি হইলেও যে ৪ টাকা ভিজিট দিয়া ডাক্তার ডাকিন্তে হইবে, তাহা বাঞ্ছনীয় নিতে । গৃহস্থ অনায়াসে এই ক্ষতি পরিহার করিতে পারেন। পূর্বে প্ৰায় সমস্ত বঙ্গীয় মহিলারাই নানা প্রকার টোটুক; ঔষধ জানিতেন । পুরুষেরা কষ্ট করিয়া অর্জন করিবেন, মহিলারা যথাসাধ্য গৃহের ক্ষতি সামলাইয়া লইবেন, পুরুষ ও স্ত্রীর এই সমবেত চেষ্টায় গৃহাশ্রম সুখের হইয়া থাকে । এখন টোটুকা ঔষধের উপর নানা কারণে বিশ্বাস চলিয়া যাইতেছে । প্ৰধান কারণ যে, তাহার মধ্যে নানারূপ ভেল ও ভ্ৰম ঢুকিয়াছে। যাহা হউক এখন ডাক্তারী বা কবিরাজী ঔষধের সঙ্গে সামান্যরূপ পরিচয় স্থাপন করা প্ৰত্যেক মহিলার কৰ্ত্তব্য বলিয়া মনে করি । থামোমেটার দিয়া রোগীর গায়ের তাপ পরীক্ষা করা এবং ঘড়ি দেখিতে জানা এখন ললনাগণের একান্ত প্ৰয়োজনীয় শিক্ষার অঙ্গীয় হইয়া পড়িয়াছে । সুখের বিষয়, অনেক ভদ্র-ঘরে, মহিলাদিগের এই বিষয়ে অপরের সাহায্য লওয়ার দরকার হয় না । ডাক্তারকে ডাকিবার পূর্বে যে সামান্য ডাক্তারী দরকার, তাহা শিক্ষা করা যেমন মহিলাগিণের কৰ্ত্তব্য, সেইরূপ শিক্ষকের হস্তে শিশুকে সমৰ্পণ করিবার পূর্বে তাহার যে শিক্ষণটুকু দরকার, গৃহিণী সে শিক্ষার সেইরূপ ভার লাইবেন। সভ্যতার শ্ৰীবৃদ্ধির সঙ্গে বস্ত্রের দোকানের নানারূপ প্রসার বাড়িয়াছে। বৈদিক যুগের মহিলারা নিজেরা মাকু চালাইয়া বস্ত্ৰ-বয়ন করিতেন। এখন সেই সোনার যুগ আর ফিরিয়া আসিবে না। তখনকার দিনের সামান্য অভাব অতি সামান্য চেষ্টায়ই পূর্ণ হইত, এখনকার সভ্যতা পৰ্বতপ্ৰমাণ অভাবের সৃষ্টি করিয়াছে। কিন্তু বস্ত্রের দোকানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র