পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহশ্ৰী bܗܐ সর্বপ্রকার নীতিজ্ঞান বিবর্জিত হইয়া পড়ে, অশ্লীল ভাষা তাঙ্গাদের কথাবাৰ্ত্তার অঙ্গীয় হইয়া পড়ে, মারামারি ও চুরি প্রভৃতি এই সকল আড়াধারীর নিত্য-কৰ্ম্মে পরিণত চাস । অনেক সময় দেখা যায়, ছোট ছোট ছেলেরা সারাটা বৈকাল ছাতে উঠিয়া হা করিয়া উদ্ধমুখে ঘুড়ির গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছে ; তাঙ্গাদের খাওয়া-দাওলা জ্ঞান নাই, অন্য চিন্তা নাই, কেবল ঘুড়ির সূতা ধরিবে কিংবা কোন ঘুড়ি ছাতে আসিয়া পড়িবাব উদ্যাত হাঁটাঘাছে, তাহাই লক্ষ্য করিতে থাকে। যে রোগের কথা বলিয়াছি, এইখানেই সেই রোগের সূচনা | সঙ্গরবাসী অভিভাবকগণ এই বিষযা হইতে শিশুকে অল্প বয়সেই দূরে রাখিবেন, নতুবা এই রোগ বুদ্ধি পাঠলে বিপদের সম্ভাবনা । ছেলে দিগকে যতটা সম্ভব গৃহে রাখাই উচিত। কারণ, কলিকাতার রাস্তাষ বড় বিপদ, উহা অনেক সমযে নরকঙ্কুণ্ডেবাই রাস্তা। ক্রিকেট, ব্যাডমিণ্টন ক্রিকেট, ব্যাডমিণ্টন প্রভৃতি খেলায় বিপদের আশঙ্কা অল্প । কারণ, যাহারা এই সব খেল খেলো, "তাতারা মার্দের্বল-খেলে ওয়াড় ও ঘুড়ি-চালকদের শ্রেণী অপেক্ষা সাধারণতঃ ভাল। তাঙ্গারা একটা নির্দিষ্ট স্থানে যাইয়া খেলে এবং খেলার সমস্যা বাজে, গল্প ও আত্মীযতা করিবাব সুবিধা পায় না । খেলার অবসানে তাহারা এতটা পরিশ্রান্ত হইয়া পড়ে যে, শেষে বাড়ীতে আসিতে পারিলে বাচে। দুঃস্থ গৃহস্থগণেরই বিপদের আশঙ্কা অধিক ; কারণ তাহদের ছেলেদেরই মার্বেল ও ঘুড়ি লইয়া বাহিরে আসিয়া পড়ার সন্তাধনা বেশী । কিন্তু অতি শিশুকাল হইতে যদি মাতা শিশুকে এইরূপ বাহিরে যাইতে নিষেধ করেন এবং কুসঙ্গ হইতে তর্ক করেন, তবে তাহার সুবুদ্ধির সঞ্চার হইবে এবং নিশ্চয়ই শিশু এরূপ বিপদে পড়িবে না। আসল কথা, মাতার সর্বদা শিশুর প্রতি দৃষ্টি রাখা উচিত,--শিশুকে বাধিয়া রাখিতে বলিতেছি না,- এবং তাহার স্বাভাবিক