পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OS গৃহশ্ৰী কিন্তু যদি কুসঙ্গে পড়িবার আশঙ্কা থাকে, তবে ছেলে স্কুলে না দেওয়াই ভাল, কারণ, যে ব্যাপারে লাভ নাই-সর্বস্ব-নাশের সম্ভাবনা, এমন ব্যাপারে কে হাত দেয় ? মুখ ছেলে সচ্চরিত্র ও বিশ্বাসী হইলে তাতারও একটা শুভ-ভবিষ্যৎ কল্পনা করা যায় , কিন্তু হাজার মেধাবী হইলেও ছেলে যদি খারাপ হয়, তবে সে একবারে ভদ্র-সমাজের বাহিরে চলিয়া গেল । তাহার বুদ্ধি যত প্ৰখর হইবে, সে তত বেশী ভযানক হইযা দাড়াইবে । ছেলে স্কুলে গেল ও নিয়মিত সময়ে স্কুল হইতে ফিরিয়া আসিল, কিংবা সথাসময়ে প্রমোসন পাইল, ইহাতেই খুব আহিলাদিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ নাই । তাঙ্গার পড়াশুনার কি উন্নতি হইয়াছে, তাহা নিজেরা না পারিলেও কোন শিক্ষিত আত্মীয় কিংবা বন্ধুব দ্বারা সময়ে সমযে পরীক্ষা করিয়া দেখা উচিত; তৃতীয় শ্রেণীতে উঠিলা যে ছেলে ছোট একখানি ইংরাজী পত্ৰ লিখিতে ভুল করিবে, কিংবা সংস্কৃতে ছোট ছোট কথার অনুবাদ করিতে অক্ষম হইবে।-সে। কিছুই পড়ে নাই । সামান্য ভগ্নাংশেৰ অঙ্ক কি জ্যামিতিৰ প্ৰতিজ্ঞা সে সমাধান করিতে পারে কি না, – দেখা দিবাকার । তাহার তাতের লেখা সুন্দর হইয়াছে কি না এবং লিখিতে বৰ্ণাশুদ্ধি হয় কি না, ইচা পিতামাতা অনেক সময় নিজেরাই দেখিয়া লইতে পারেন । অনেক স্কুলেই দেখা যায় যে, বিধাতার আশীৰ্বাদে ছেলের যেমন বয়স স্বাভাবিক নিয়মে বিনা চেষ্টায় বাড়িয়া যাইতেছে, সুল মাষ্টারের অনুগ্ৰহে সে বিনা গুণে সেইরূপ প্রমোসন পাইয়া যাইতেছে ; তার পর প্ৰেথম শ্রেণীতে উঠিয়া তাহার সেই শ্ৰীবৃদ্ধি ক্ষান্ত হইয়া গেল। স্কুলের প্রাচীর অতিক্ৰম করিয়া , r” সে কিছুতেই আর কলেজে ঢুকিবার পথ পাইল না।-- * • T • __ डानाडा कड के निश्त्रिनिटी অনেক সময় যখন পিতামাতা কত কষ্টে নিজের নিতান্ত প্রয়োজনীয় ব্যয সংকুচিত করিয়াও ছেলেদের পড়াশুনার খরচ চালাইয়া থাকেন, তখন কষ্টাৰ্জিত সামান্য আয়ের বৃহৎ অংশ একবারে নিস্ফল হইয়া কেন পড়িবে,