পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

亦万到 SS আমার বলিবার উদ্দেশ্য, যে সকল আমোদের পরিণাম বিনাশ বা ক্ষতি, তাহা হইতে শিশুগণকে রক্ষা করা দরকার। কোন কোন আমোদ বা খেলায় শিশুদিগের দুৰ্গতি হয়, তাহা বুঝিতে কোন কষ্ট হইবে না, কারণ, তাঙ্গার দুষ্টান্ত ঘরে ঘরে রহিত্যাছে। চিত্রগুপ্তের খাতায় তাহদের অপরাধের কথা লিখিত থাকুক বা না থাকুক, অনেক দুঃখাৰ্ত্তা জননীর বুকে ও নিরাশ পিতার মৰ্ম্মে সেই সকল কাহিনী লিখিত রাঠিযাছে। কিন্তু এ পয্যন্ত আমরা গোড়াকার কথাটা বলি নাই, সকল শিক্ষার উপর ধৰ্ম্ম-শিক্ষা । শিশুকালে এই মূলধন পাইলে সংসারু-যাত্রা সুখের হইবে । আগে আমরা প্ৰাতে, ভগবানের নাম লইয়া শয্যা হইতে উঠিত।াম, তঁাচার নাম লিখিয়া অপর লেখাপড়া সুরু করিতাম,-সে সকল পাঠ এখন উঠিয়া গিয়াছে। কিন্তু মহিলাগিণের মধ্যে এখনও অনেক পবিমাণে ধৰ্ম্ম ভয় আছে, আমার এই বিশ্বাস । যাহারা সংসারের জন্য নিঃস্বাৰ্থ হইয়া কেবল স্বামী, পুত্র ও অপরের জন্য খাটেন-নিজে না খাইয়া পাবকে খাওয়ান, এবং সেই স্বামী, পুত্ৰ 1-faf ! যখন তাহদের মন্মে আঘাত করিঘা "অসহ্যু কষ্ট দেন, তখন র্যাহারা কিছু নী বলিয়া তাহা নীরবে সহ করেন,—কখনও বা বুক-ভাঙ্গা কষ্ট সহিতে না পারিব্য অকালে ফুলটির মত ঝরিয়া পড়েন, সেই মহিলাকুল যে তাহাদের নীরব দুঃখ-কষ্টেব ভাব সক্তিতে সহিতে আত্মসমৰ্পণ করিয়া ভগবানকে ডাকিবেন এবং যখন তপন চোখের জলে অভিষিক্ত হইয়া তাহারই পাদপদ্মে শরণা লইবেন, ইহা বিচিত্ৰ কথা নহে । আমাদের দেশের রমণীরা বিনা অপরাধে শত শত দুঃখ পাইয়া থাকেন। স্বামী সমস্ত সম্পত্তি উড়াইয়া দিলেন ; কত চোখের জল কত অনুনয়বিনয় করিয়াও তিনি তঁহাকে সংশোধন করিতে পারিলেন না। ;-তারপর দুর্দিন আসিল, যৎসামান্য খাদ্য পতিপুত্রের জন্য প্ৰস্তুত করিয়া নিজে