গৃহশ্ৰী زS(\ এইজন্য একত্ৰ থাকিতে হইলে নিজ বাড়ীর আত্মীয়দের সঙ্গে একত্র থাকা বেশী সুখের হয়, তাহাতে স্বগৃহের সন্মান অটুট থাকে এবং বংশগত প্রকৃতি ধারাবাহিক রূপে রক্ষিত হয় । আমি এ পৰ্য্যন্ত এ সম্বন্ধে যাহা লিখিলাম, তাহা সকলই আর্থিক লাভ – ক্ষতিব হিসাব দেখাইয়া । কিন্তু এই ব্যাপাবে একটা সাত্ত্বিক দিক আছে । বহু আত্মীয়ের সঙ্গে একত্র থাকায়, যে আত্মত্যাগ, ক্ষমা ও উদার ভাবেল চচ্চা করিতে হয়-তাহাতে মানুষ উন্নত হয় ও ভগবানের বেশী সম্মুখীন হয। কোন কোন সংসার ভোগের, কোন কোন সংসার ত্যাগের । শুধু প্ৰতি পুত্ৰ লইয়া যাহারা সংসার করেন, তাহারা যে ত্যাগশীল হইতে পারেন না, এ কথা "আমি বলিতেছি না । কিন্তু যৌথ - পরিবারই সেই ত্যাগের প্রকৃত ক্ষেত্র। যেখানে ত্যাগ নাই, উচ্চ ধৰ্ম্মভাব নাই, সেখানে যেন কেহ যৌগ-পবিবাব গড়িবাব বিফল প্ৰব্যাস না পান । আমি এরূপ দেখিযাছি যে, এক বাড়ীতে পিতা মাতা এক উনানে রাধিয়া খাইতেছেন, এবং তঁহাদের মধ্যেও সব্বদা কলঙ্ক হওয়ার দরুণ র্তাহারাও মধ্যে মধ্যে উপবাসী থাকিতেছেন । বড় পুত্র ও তাহার স্ত্রী এবং শিশুগণসহ এক বাড়ীতেই আর এক উনানে বাধয়া থাইতেছেন। মধ্যমের আর এক উনান এবং এই সমস্ত পরিবারময় খুনোপুনি ঝগড়া চলিতেছে ; কখন এক ভ্রাতার ঝি অপর ভ্রাতার খাওয়াদাওয়া কিংবা চলা-ফেরা সম্বন্ধে আলোচনা করার দরুণ হঠাৎ দেখা গেল, সেই ভ্ৰাতা আসিয়া তাহার মাথা ফাটাইয়া রক্তারক্তি করিতেছেন বাড়ীময পুলিস আসিয়া সকলের জবানবন্দী লিখিয়া লইতেছে। অবিবাহিত সৰ্ব্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা। কখনও বা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নিন্দ করিয়া মধ্যম ভ্রাতার প্রাণপ্ৰিয় হইয় তাহারই সংসারে কিছু অন্ন-জল পাইতেছেন, কখনও মধ্যম ভ্ৰাতৃবধূর হঠাৎ কোন দোষ আবিষ্কার করিয়া তাহ সর্বসমক্ষে কীৰ্ত্তন cጫቅcፊ *
