পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহশ্ৰী Գo ভাবে উৎপন্ন হইয়াছিল,-সুতরাং আদালতে যে প্ৰত্যহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কুরুক্ষেত্র এই ভাবে নিত্য নিত্য সংঘটিত হইবে-তাহাতে আশ্চর্য্যের বিষয় কি ? শকুনি মহাশয়দের চেষ্টায় এই সকল ব্যাপার ক্রমশঃ ফাপিয়া উঠে, তখন শকুনি মহাশয়ের এক এক পক্ষের প্রাণাপেক্ষা অন্তরঙ্গ হইয়া উঠেন । পরের দোষ আলোচনার ফলে এইরূপ যে আত্মীয়তার বৃদ্ধি হয়, তাহা হইতে জঘন্য কিছু কল্পনা করা যায় না। শকুনি পুরুষজাতীয়ই হউন, বা স্ত্রীলোকই হউন, তাহাকে কিছুতেই প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়। যৌথ-পরিবারের যে যাহার দোষ দেখিবে, তাহাকে সম্মুখে ডাকিয়া শাসন করিবে । স্নেচোর-শাসন সকলেই মাথায় করিয়া লইতে প্ৰস্তুত। গুরুজনের দোষ দেখিলে যতটা সহিতে পারা যায়, তাহা সহিবে । “ঘে সতে সে রহে” ইহাই প্ৰবাদ কথা । যে নীরবে সহ করে, ভগবানের স্নিগ্ধ-চক্ষু গোপনে তাহার হৃদয়ের দিকে ন্যস্ত থাকে । যখন অসহ্য হইবে, তখন তাহার পায়ে পড়িয়া দুঃখ জানাইবে । তখন তাহার। দয়া হইবে । যৌথ-পরিবারের সুখ-শান্তি স্বৰ্গীয় জিনিষ , উহা সকলের হৃদয়ের নিৰ্ম্মলতা, ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সোহেব উপর দাড়াইয়া থাকে। ইহা যখন পূর্ণ শোভায় বিকাশ পায, তখন ইহাকে একান্ত স্বাভাবিক বলিয়া মনে হয়, কিন্তু এই ফলের বাগান একটা ফুৎকারে উড়িয়া যাইতে পারে। বিদ্বেষের কীট ঢুকিলে দু’দিনে ফুলগুলির গোড়া কাটিয়া ফেলিবে । যৌথ-পরিবার রক্ষার আর একটা প্ৰধান উপায় চিত্ত-সংযম । হঠাৎ রাগিয়া মানুষ এমন কাজ করিয়া বসে যে, প্রীতির বন্ধন সমস্ত একচোটে ফসকিয়া যায়। আমার এক বন্ধু বলিয়াছেন, যখন তাহার রাগ হইত, তখন তিনি এক হইতে একশত পৰ্য্যন্ত গণিতেন ; রাগের সময় অপরের দোষগুলি বৃহৎ হইয়া চোখের শকুনির চেষ্টা চিত্ত-সংযম