পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ@ ஒ&கி জানিতেন । শ্রান্ত ব্যক্তিকে তঁাহারা খাটাইতেন না ; যে দুঃখ পাইয়া আসিয়াছে, তাহাকে তাড়া দিতেন না ; যে একটু শান্তির জন্য গৃহে ফিরিত তাহাকে দ্বিগুণ অশান্তির মধ্যে ফেলিতেন না । তাহার সরল কথাব্য দোষ দেখাইতে দ্বিধা বোধ করিতেন না ; যে অন্যায় করিয়াছে, তাহাব উপযুক্ত শাসন করিতেন, কিন্তু অন্যায়ারূপ শাসন করিতেন না ; যে শাসনে বিগড়াইয়া যায়, সে শাসন করিতেন না ; এবং যে আদরে ছেলেদের ভবিষ্যত মাটী হয়, সেরূপ আব্দর দেখাইতেন না । ভাড়ার-ঘরে তাহারা লক্ষ্মী ছিলেন, বান্নাঘবে তাতাবা অন্নপূর্ণ ছিলেন এবং পরিবেশনকালে তাহারা দয়ামধী ছিলেন । তাহারা নিজের সুখ পুজিতেন না ; নিজেব দ্রুতঃ খকে সাতটা সরাইটনা রাখা সাধ্য, তাহত রাখিতেন, এব।” পরের দুঃখকে নিজের দুঃখের মত মনে করার দরুণ সকলকে আপনার করিতে পারিতেন। আমি কি খাইব, কি পরিব, ও সেঞ্চবাপ বাড়ীর গহনার ফন্দ কিরূপ হইবে, বাজারে নূতন ধরণের কোন বহুমূল্য শাড়ী আসিযাছে, স্বামীর কাছে দিনরাত্রি তাহাবই বায়না ধরিয়া থাকিতেন না। বাড়ীর সকলে সুখী হইলেই তাহারা সুখী হইতেন। সকলোেব সেবাঘ প্ৰাণপণে নিজেকে নিবেদন করিয়া দিয়া-সেই সেবায় সকলে সন্তুষ্ট হইলে তঁাহারা তাহাই সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী পুরস্কার মনে করিতেন । স্বামীর প্রতি ভালবাসা লইয়া তাহারা আড়ম্বর করিতেন। না, সেই প্ৰেম একান্তভাবে গুপ্ত থাকিতে ; কিন্তু স্বামীর মুচ্যতে তঁহাদের অপূর্ব প্রেম ধরা পড়িয়া যাইত; নিজের ছেলেদের নিদারুণ শোক উপেক্ষা করিয়া বিবাহেব সময় যেরূপ নববস্ত্ৰ পরিয়া সিন্দুর মাথায় দিয়া স্বামীর পাশ্বে দাড়াইয়াছিলেন, সেইরূপ নূতন বস্ত্ৰ পরিয়া সিন্দূর মাথায় স্বামীর মৃতদেহের পার্শ্বে অগ্নি-শয্যা আশ্রয় করিতেন । বৈধব্য ও তাচারা পাতিব্ৰত্য ও ধৰ্ম্মের কঠোরতা অবলম্বন করিয়া ভগবানের চরণে আত্ম