বল্লম দিয়া মা জননিক ব্যাড়াও হানিয়া॥
রাজ বাক্য খেতুআ বৃথা না করিল।
বল্লম দিয়া খেতুআ হানিতে নাগিল॥[১]
এক হান দুই হান তিন হান দিল॥
তিন হানের ব্যালা বল্লম গামছা তুলিল॥[২]৬৮৫
গামছা নিল খেতু বল্লমে করিয়া।
রাজার চাক্খসে গামছা দিল ফ্যালাইয়া॥
রাজা বলে শুন খেতু খেতুআ প্রানের ভাই।
দৌড় দিয়া জা খেতু কলিঙ্কার বন্দর নাগিয়া॥
আমার জ্ঞাতা সকল আন ডাক দিয়া।৬৯০
সোল মর্দ্দে ন্যাও কড়েয়া ঘাড়ত করিয়া॥
তেপথি রাস্তার মধ্যে ফ্যালান ঢালিয়া।
হাড়ি চণ্ডালেরা জাউক ন্যাদেয়া গুড়িয়া॥
তৈল ফ্যালাইয়া সকলের হরিস হৈল মন।
ভিতা ভিতি জ্ঞাতা সকল করিল গমন॥[৩]৭০০
- ↑ পাঠান্তর–হরিবোল বলিয়া কোচা তৈলে ফেলি দিল।
- ↑ গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠ:—
এক মুট খোচা লইল হস্তত করিয়া।
তৈলর মাঝত বেড়ায় হাস্তিয়া॥
এক হাল দুই হাল তিন হাল হইল।
তিন হালর সময় গামছা উঠাইল॥
মহামাংস নাই ময়নার অনলর ভিতর॥
সোল মরদে নও কড়াই সাইঙ্গ করিয়া।
তেপথীত নিযায়া তৈল ফেলাইল ঢালিয়া॥
ধাঁ ধাঁ করিয়া অনল সর্গ দেখা দিল।
সরিসার রূপ হয়য়া দুবায় নুকাইল॥
অকারনে খেতু কান্দিবার লাগিল॥ - ↑ পাঠান্তর:—
গামছা দেখি খেতু কান্দন জুড়িল॥