ধানবানা গাইন নিল খেতু ঘাড়ত করিয়া।
বধুগুলার মধ্যে নাচে ধুম ধাম করিয়া॥
ধুম ধাম করি খেতু নাচিতে নাগিল।৭৭৫
বধু সকলের মাথাত বজ্জর ভাঙ্গিয়া পৈল॥
রদুনা উঠিয়া বলে পদুনা নায়র দিদি।
জদি কালে বুড়ি গেইছে মরিয়া।
খেতু ক্যানে নাচে মোর পাছত আসিয়া॥
ছোট রানি আছে রাজার বুদ্ধির নাগর।৭৮০
তার উত্তর জানায় অদুনার বরাবর॥
শব্দে শু’নাছি মোরা বুড়ি গেয়ানে ডাঙ্গর।
আগুনত না জায় পোড়া জলত না জায় তল॥
নোহার খাড়া না বইসে তার গদ্দানার উপর।
ক্যামন করিয়া বধিবে তায় বুড়ির পরান॥[১]৭৮৫
চল চল জাই দিদি পরিক্খাক নাগিয়া।
মরিছে কি বাচি আছে শাসুর আসি দেখিয়া॥[২]
- ↑ একটি পাঠে পাই:—
নাচন খেমা কররে দিদি নাচন খেমা কর।
অধিক করি নাচিলে দিদি টুটিবে গাএর বল॥
নাই জায় মরিয়া শাসুর নাই জায় মরিয়া।
এই কারনে নাচে গোলাম গাইনটা ঘাড়ে নিয়া॥ - ↑ ইহার পর একটা পাঠের অতিরিক্ত অংশ এইরূপ:—
সাজ সাজ বলিয়া রানি সাজিতে নাগিল॥
মাজ কপালে তুলিয়া দিল তিলক সিন্দুরের ফোটা॥
নিগাল ছোরান খানি ঘুচা’ল ঢাকিনি।
দুই অঙ্গুলে বাহির কৈল্লে নাসের কাকই খানি॥
কাকেয়া কাকেয়া চুলের ভাঙ্গে জালি।
সিতার গোড়ে গোড়ে পিন্ধিল সোনার মুকুতা সারি সারি॥
কাকেয়া কাকেয়া রানি চুল করিল গোটা।