জখন রানি গুলা বুড়িক না দেখিল।
হাতে তালি দিয়া রানির ঘর নাচন জুড়িল॥৮০০
মানা বলে হায় বিধি মোর করমের ফল।
নাচ নাচ আড়ির বউ মুই ও দ্যাওঁ তালি।
পরিক হাতে উঠিলে আড়ি ক’রবে কালি॥
এই খোপা পিন্ধিয়া রানি রূপের দিকে চার।
রানির ছটায় সুজ্যের ছটায় এক লাগ্য পায়॥
নিগাল ছোরান খানি ঘুচা’ল ঢাকিনি।
দুই অঙ্গুলে বাহির কৈল কাপড়া ঝাম্পাখানি॥
প্রথমেতে পিন্ধিল কাপড় কাউয়ারঙ্গি সাড়ি।
আট তরপ পিন্ধিল তবু অষ্ট অঙ্গ দেখি॥
ঐ কাপড় পিন্ধিয়া রানি রূপের দিকে চায়।
মনতে না খায় কাপড় রতিতে বিলায়॥
তার পরে পিন্ধে কাপড় গহুর রঙ্গের সারি।
গহুর রঙ্গি সাড়ি পিন্ধিয়া রূপের দিকে চায়।
মনতে না খায় কাপড় বান্দিক বিলায়॥
তার পিছে পিন্ধে কাপড় লক্খিবিলাসি সাড়ি।
লক্খিবিলাসি সাড়ির কথা কহনে না জায়।
দিঘল কৈল্লে সেই কাপড় মথুরাগঞ্জ জায়॥
গোটা কৈল্লে সেই কাপড় মুটুতে লুকায়॥
লক্খিবিলাসি সাড়ির দাসর নাহি খেও।
দাসর ভিতর নেখিয়া দিছে ত্রিশ কোটি দ্যাও॥
হাস ন্যাখছে বাহনা ন্যাখছে গহুরবানে হরি।
কাগের সরস্বতি ন্যাখছে কুবিরের ভাণ্ডারি॥
কুবিয়ের ভাণ্ডারি ন্যাখছে দ্যাবতারি রাজা।
শনির দৃষ্টে গনেসের মুণ্ডু গেইছে ছাঁটা॥
গজের মুণ্ডু কাটাইয়া গনেসের জোড়াইয়াছে মাথা॥
দরিয়ার জত মাছ মগ্র দ্যাছে কাপড়াএ নেখিয়া।
পৃথিবির জত পক্খি দ্যাছে কাপড়াএ নেখিয়া॥