পাতা:গোপীচন্দ্রের গান.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পণ্ডিত খণ্ড
১৩৫

মহারাজা সন্ন্যাস হয় রাজ্যের ঈশ্বর।
গনাপাড়া করিতে ঠাকুর তোমার তলপ॥[১]৯৫
জখন পণ্ডিত এ সংবাদ শুনিল।
সাজোঁ সাজোঁ বলি পণ্ডিত সাজিবার নাগিল॥[২]
ধবল বস্ত্র নিল ঠাকুর পরিধান করিয়া।
পাঞ্জি পুস্তক নিলে ঠাকুর ঝোলোঙ্গা ভরিয়া॥


  1. গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠঃ—

    তোক বলোঁ পণ্ডিত ঠাকুর বাক্য মোর ধর।
    রাজা তলব করে নহলর ভিতর॥
    সীঘ্র গতি চলিয়া যাও রাজ দরবার॥

  2. একটী পাঠের অতিরিক্ত অংশঃ—

    এক ডণ্ড দুই ডণ্ড তিন ডণ্ড হৈল।
    পঞ্চ নোটা গঙ্গার জলে বামনি ছিনান করিল॥
    ছিনান করিয়া বামনি রাহ্নিক করিল।
    রাহ্নিক করিয়া বামনি রন্ধন করিল॥
    এক ভাত পঞ্চাশ ব্যাঞ্জন অন্ধন করিয়া।
    সোবন্নের থালাতে রন্ন দিল পারশ করিয়া॥
    আইস আইস ঠাকুর মশায় রন্ন খাও আসিয়া॥
    জখন দৈবক ঠাকুর রন্নের নাম শুনিল।
    পঞ্চ নোটা গঙ্গার জলে ছিনান করিল॥
    ছিনান করিয়া ঠাকুর রাহ্নিক করিল।
    এক ভাত পঞ্চাশ ব্যাঞ্জন ভক্‌খন করিল॥
    রন্ন খাএয়া দৈবক মুনি মুখে দিল গুআ।
    বামন বামনি কয় কথা পাঞ্জারের শুয়া॥
    আমার বুদ্ধিতে ঠাকুর গনিয়া নিলু টাকা।
    আগে আমাক কিনিয়া দে দশ টাকার শাখা॥
    এলকার মোনে থাক ব্রাম্মনি ধৈরন ধরিয়া।
    শুবে শুবে দরবার হৈতে আইসঁ ফিরিয়া॥
    শ্যাখার বদল দিব সোনার কাঙ্গন বানাএয়া॥