কাতরা হতে দৈবক ঠাকুরক তু’ল্লে টান দিয়া।
ঠাকুর সহিতে জাএছে খেতু রাজার দরবারক নাগিয়া॥
জখন ধম্মিরাজ ঠাকুরক দেখিল।
কপালে মারিয়া চড় কান্দিতে নাগিল॥১৯৫
রাজা বলে ওরে খেতুআ—
জখনে আছিলাম আমি আজ্যের ঈশ্বর।
আমার হুকুমে নরবলি কাটেছে বিস্তর॥
এখন হবার চাই কপিনপিন্দা কোড়াকের ভিকারি।
আমার হুকুমে কাটা না জায় পণ্ডিত অধিকারি॥[১]২০০
খেতুআ বলে শুন দাদা ধর্ম্ম অবতার[২]।
তৈলপাটের খাড়া নিয়া জাই দৌড়িয়া।
আপনার দোহাই দিয়া উঠে ঠাকুর কাতরাএ থাকিয়া॥
ক্যামন বোলে চলি গেছিল ছচি নোকের ঘর।
অবোধ ছাওআলে পাঞ্জি ক’চ্ছে বোলে এ হেটাউছল।২০৫
ফের গনিবার চাইলে ঠাকুর দরবার উপর॥
- ↑
পাঠান্তর :—আমার হুকুমে মানুস কাটিতে না পারিস।
- ↑
পাঠান্তর :—‘ধর্ম্ম’ অবতার হলে ‘রাজ্যের ঈশ্বর' এবং তৎপরে
আপনার দোহাই ফিরায় খেতুর বরাবর।
ক্যামন করি খেতু ছোড়া ধরিয়া করিম বল॥
নাবালক পুত্ত্র পণ্ডিতের মহলের ভিতর।
সেই ছাইলা পাঞ্জি করিয়াছে হেটাউছল॥
তুলসি জল দিলাম আমি পাঞ্জিত ছিটাইয়া।
ক্যামন গনন গনে পণ্ডিত ন্যাওত গনিয়া॥
রাজা বলে শুন পণ্ডিত বলি নিবেদন।
এমন স্যামন গনন তোর করে নাই শুনি।
ভাল করি গন তবে হামরা শুনি॥
আমি রাজা হইলে তোক করিব পাত্তর।
দুই জনে রাজ্য লুটি থাব কার বাবার ডর॥