রাজার দরবারত জাএয়া নাপিত খাড়া হৈল।
গইড়মুণ্ড হৈয়া রাজাক প্রনাম জানাইল॥[১]
রাজা বলে শোনেক নাপিত আমি বলি তোরে।
এত দেরি ক্যানে কইল্লেন আপনার মহলে॥১২০
নাপিত বলে,—ওগো মহারাজ! কইতে ধম্মিরাজ বড় নাগে ভয়।
পাশ্শ টাকা খোসা দিছে রানি সক্কল।
খোসা খাএয়া আচিনু আমি ভুঞিঘরার ভেতর॥
জখন নাপিত বেটা কবুল করিল।
দৈবক মুনির বন্ধন রাজা খলাস করিয়া দিল।১২৫
লৈক্খ টাকার কণ্টমালা ঠাকুরক ফ্যালাইয়া দিল॥
- ↑ পাঠান্তর:—
জখন মধু নাপিত এ সংবাদ শুনিল।
ভাইর খুর নিল বগলে করিয়া।
পাচ হস্ত ধুতি নইল পরিধান করিয়া॥
চিরা চাদর নইলে ঘাড়ে করিয়া।
রাজার দরবারক নাগি চলিল হাটিয়া॥
কত দুর জাইয়া নাপিত কত পন্ত পায়।
আর কতক দুর জাইয়া রাজার লাগ্য পায়।
রাজদরবারে জাইয়া নাপিত দরশন দিল।
জখন ধর্ম্মি রাজা নাপিতক দেখিল॥
নাপিতক বসিতে দিলে গামারি চোকরি।
মস্তক ভিজাইতে দিলে জল মানিকের ভিঙ্গারি॥
গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে পাই:—
বাপর কালর নাপিতক আনিয়া হাজির কর॥
নাপিতর মহলক লাগিয়া গেল চলিয়া।
নাপিতক তবে আনিল ডাকিয়া।
ভাঁইড় ক্ষুর লইয়া আস চলিয়া॥
ভর কাচারি রাজা করে ডাম্বা ডৌল।
হেনকালে খাড়া হইল নাপিতর কুমর॥